ফুলের এই স্বতন্ত্র বৈশিষ্টকে কাজে লাগানো যায় ত্বকে। গাঁদা থেকে গোলাপ, পদ্ম থেকে লিলি, জুঁই থেকে জবা, প্রতিটা ফুলের কিছু আশ্চর্যজনক বৈশিষ্ট রয়েছে যা কাজে লাগিয়ে ত্বককে করে তোলা যায় ফর্সা এবং উজ্জ্বল। এখানে সর্বকালের সেরা ফুলের ফেস প্যাকগুলোর একটা তালিকা দেওয়া হল।
গোলাপের ফেস প্যাক: গোলাপ জল ব্যবহার করতে করতে ক্লান্ত? স্বাভাবিক। ত্বকের যত্নে তাই চাই গোলাপ ফুল। গোলাপে উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে নরম এবং উজ্জ্বল। দুধ ত্বককে চকচকে এবং কোমল করার পাশাপাশি ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। গ্লিসারিন ত্বককে পুষ্টি যোগায়।
advertisement
পদ্ধতি – ৭-৮টা গোলাপের পাপড়িতে ১-২ টেবিল চামচ জল দিয়ে ভালো করে পিষে নিতে হবে। এবার তাতে সামান্য দুধ এবং গ্লিসারিন যোগ করলেই ফেস প্যাক তৈরি। প্যাকটা মুখে ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে শুকোনোর জন্য আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে জল দিয়ে।
আরও পড়ুন: কন্ডিশনার হোক বা ফেস মাস্ক, গরমে সব সমস্যার সমাধান নারকেলের জল! কীভাবে?
গাঁদার ফেস মাস্ক: একজিমা এবং অ্যালার্জি রুখতে দারুণ কাজ করে গাঁদা ফুল। সমস্ত ধরনের ত্বকের সমস্যাতেই এই হলুদ ফুল লা জবাব। গাঁদায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে ত্বককে ফর্সা আভা দেওয়ার পাশাপাশি ভেতর থেকে পুনরুজ্জীবিত করে। অন্য দিকে, নারকেলের দুধে ত্বককে ময়শ্চারাইজ করার ক্ষমতা রয়েছে।
পদ্ধতি – কয়েকটা গাঁদা ফুলের পাপড়ি ১-২ টেবিল চামচ জল দিয়ে ভালো করে পিষে নিতে হবে। এবার তাতে যোগ করতে হবে সামান্য নারকেলের দুধ। মিশ্রণটা মুখে ঘাড়ে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেললেই হবে।
জুঁই ফুলের ফেস প্যাক: জুঁইয়ের ফেস প্যাক শুষ্ক ত্বকের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এটি ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে। দুধ ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে। বেসন ত্বকের টোনকে সমান করে উজ্জ্বল আভা এনে দেয়।
পদ্ধতি – জুঁই ফুলের কয়েকটা পাপড়ির সঙ্গে সামান্য কাঁচা দুধ এবং বেসন মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবার পেস্টটা ঘাড়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
গোলাপ এবং ওটমিলের ফেস প্যাক: গোলাপ ভিটামিন সি-এর একটি প্রধান ভাণ্ডার যা ত্বককে লালন করে। বেসন ত্বকে উজ্জ্বল আভা এনে দেবে। এই ফেস প্যাকে ওটমিল হল বাইন্ডিং এজেন্ট। ওটস ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য একটি দুর্দান্ত মাস্ক।
পদ্ধতি – ৭-৮টা গোলাপের পাপড়ির সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে ভালো করে পিষে নিতে হবে। অন্য দিকে, ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিতে হবে ওটস। এবার দুটো একসঙ্গে মিশিয়ে তাতে দিতে হবে সামান্য বেসন। সবকটা ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর লাগাতে হবে মুখে এবং ঘাড়ে। মিনিট পনেরো পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
পদ্মের ফেস মাস্ক: ত্বকে ম্যাজিকের মতো কাজ করে পদ্ম। হাইড্রেটেড তো রাখেই ত্বকের দাগ এবং বলিরেখাও দূর করে। পাশপাশি দুধ ভেতর থেকে পরিষ্কার করবে। আর মুসুর ডাল ত্বককে জোগাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
পদ্ধতি – ৭-৮টা পদ্মের পাপড়ি ভালো ভাবে পিষে নিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ দুধ এবং এক টেবিল চামচ মুসুর ডাল গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার প্যাকটা মুখে ঘাড়ে এবং গলায় লাগিয়ে আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে।