ইউরিক অ্যাসিড কীভাবে প্রভাব ফেলে? এটি শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর?
আমাদের দ্রুততার জীবন, খারাপ খাদ্যাভাস কিংবা খুব বেশি দুশ্চিন্তা এই সব কিছুই শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে কিডনি, হার্ট, লিভারের কার্যকারিতায় প্রভাব পড়ে, পেশিতে, জয়েন্টে ব্যথা হয় এবং হাড়ের স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে। আবার রক্তে অত্যধিক ইউরিক অ্যাসিড থেকে হাইপারুরিসেমিয়ার মতো রোগ হতে পারে যা থেকে কিডনিতে পাথর, আর্থ্রাইটিস এবং গাউট হয়। তবে ডায়েটের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা সবচেয়ে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে বেশ কিছু জুস এবং চা যা প্রাকৃতিকভাবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বেশি ঝক্কির দরকার নেই, খাওয়ার পর ক্যান্ডি মুখে দিলেই কমতে শুরু করবে ওজন
আদা চা:
নিয়মিত আদা চা খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড কমে। আদার মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ রয়েছে যা স্বাভাবিকভাবে প্রদাহ,জয়েন্টের ব্যথা এবং শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
শশার রস:
লেবুর সঙ্গে শসার রস খেলে লিভার, কিডনি ডিটক্সিফাই হয় এবং তা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটির মধ্যে পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের উপস্থিতির কারণে কিডনিকে ডিটক্সিফাই করে এবং কিডনির কার্যকারিতা বাড়ে যার ফলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সব লক্ষণই কিন্তু করোনা বলে ভুল করবেন না, কী করে বুঝবেন কোনটা কোভিড, কোনটা নয়?
গাজরের রস:
গাজরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ফাইবার, বিটা ক্যারোটিন, মিনারেল থাকায় লেবু দিয়ে গাজরের রস খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয়। এছাড়াও লেবু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি যুক্ত হওয়ায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং কোষের পুর্নগঠনে সাহায্য করে।
গ্রিন টি:
এক কাপ গ্রিন টি ইমিউনিটি বাড়াতে কার্যকরী। একই সঙ্গে এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োঅ্যাকটিভ থাকায় এই চা কয়েকদিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।