শুধু জ্বর নয় যে কোন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় খাদ্য চয়নের সচেতনতা। রোজকার খাওয়া-দাওয়ার মেনুতে একটু নজর দিয়ে কিছু জিনিস নিয়মিত খেলেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় অনেক গুণ, সহজে কাবু করতে পারে না কোন অসুখ।
আরও পড়ুন: আবার ফিরেছে শীত! কতদিন থাকবে? কী হবে সরস্বতী পুজোতে? বৃষ্টি নিয়ে বড়সড় আপডেট হাওয়া অফিসের
advertisement
যেমন ধরা যাক সাইট্রাস ফ্রুটস বা টক যুক্ত ফলে প্রচুর পরিমান ভিটামিন-সি থাকে। এই ধরণের ফল নিয়মিত খেলে যে কোন ব্যাক্টেরিয়া আর ভাইরাসের মোকাবিলা করা যায় সহজে আর যে কোন রকম সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। সব ধরণের লেবু আর আঙুরে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি থাকে। ভাতের পাতে পাতিলেবু বা ব্রেকফাস্টে আঙুর শুধু পুষ্টিকরই নয়, রসনার তৃপ্তিও জোগায়।
তাই এখন থেকে মেনুতে রোজ যে কোন সাইট্রাস ফ্রুটস যেন অবশ্যই থাকে। এই টক যুক্ত ফল ক্যানসারেরও প্রতিরোধক।কপি একটা লোভনীয় সবজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি দিয়ে নানা উপাদেয় পদ তৈরি হয়। এই কপিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-এ, ই ও সি আছে। এগুলো সবকটি সংক্রমণ প্রতিরোধক আর রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। আর থাকে কোলিন যা শরীরের কোষের সজীবতা বজায় রাখে।
সবুজ শাকের গুণ যে অপরিসীম সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের দেশজ কলমি, নটে, সাঞ্চি, পালংশাকেও প্রচুর পরিমান ভিটামিন-সি থাকে আর থাকে ফলিক অ্যাসিড। ফলিক অ্যাসিডও আর একটা ইমিউনিটি বুস্টার। তাই রেগুলার শাক খেতে হবে আর খেতে হবে দই। দইতেও থাকে প্রচুর পরিমান ভিটামিন-ডি। দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
আজকাল ব্যস্ততাময় জীবনের মানুষের খাওয়ার মেনু সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে, আর সময়াভাবে বেড়ে গেছে ফাস্টফুড। কিন্তু অল্প কিছুদিন আগেও বাঙালির লাঞ্চ শুরু হত শাক দিয়ে আর শেষ হত টক বা চাটনি আর দই দিয়ে তা শুধু রসনা তৃপ্তির জন্য নয়, সম্পূর্ণ পুষ্টিকর খাদ্য চয়ন করে শরীর সুস্থ রাখার জন্য।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
সুমন সাহা