শসার রস: ১ চামচ শসার রস এবং ১ চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। শুকোনোর জন্য ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে ঠান্ডা জলে। প্রতিদিন নিয়মিত এই টোটকা ব্যবহার করলে দু’সপ্তাহের মধ্যে ত্বকে বড়সড় পরিবর্তন আসবে। শসা ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ। ত্বকের রঙ পরিষ্কার করতে এর জুড়ি নেই। ত্বকে কোনও দাগছোপ থাকলে শসা পাতলা করে কেটে তার উপর লাগালেও উপকার পাওয়া যায়। তবে মুখে যদি কাটা বা ঘা থাকে তাহলে শসার রস না দেওয়াই ভাল। স্কিন সেটিং করলেও শসার রস লাগাতে বারণ করা হয়।
advertisement
ডিমের সাদা অংশ: এর জন্য লাগবে এক চা চামচ ডিমের সাদা অংশ, এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং এক চা চামচ চাল গুঁড়ো। ডিমের সাদা অংশ, অ্যালোভরা জেল এবং চালের গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেটা মুখে লাগাতে হবে। শুকোনোর জন্য ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে ঠান্ডা জলে। সপ্তাহে দু’বার এটা করলেই ভাল ফল পাওয়া যাবে। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি ত্বককে টানটান করার পাশাপাশি হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। শুধু তাই নয়, ডিমের সাদা অংশের এক্সফোলিয়েটিং বৈশিষ্টও রয়েছে যা মৃত কোষ সরিয়ে ত্বক পরিষ্কার রাখে।
আরও পড়ুন : চুলের যে কোনও সমস্যাতেই ম্যাজিক! পাতলা চুলও ঘন হয়ে যাবে, শুধু এ ভাবে ব্যবহার করুন এই উপাদান
এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট ত্বকের প্রদাহ কমায়। ডিমে থাকা ভিটামিন এ ব্রণের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। তবে ত্বকে যদি আগে থেকেই ব্রণ থাকে তাহলে ডিমের সাদা অংশ লাগানো উচিত নয়। ত্বকে কোনও ক্ষত থাকলে কিংবা তৈলাক্ত ত্বকেও ডিমের সাদা অংশ লাগাতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা।
মনে রাখতে হবে ত্বকচর্চায় যে কোনও ঘরোয়া টোটকা প্রয়োগের অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে প্যাচ টেস্ট করিয়ে নেওয়া জরুরি। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।