হাইড্রেটেড থাকা: শরীর হাইড্রেটেড থাকলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে যায়। গলায় জমতে পারে না। তাই প্রতিদিন প্রচুর জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সঙ্গে চা বা অন্যান্য পানীয়। স্যুপ বা ফলের জুসও কার্যকরী। মহিলাদের প্রতিদিন ১১.৫ গ্লাস বা ২.৭ লিটার জলের প্রয়োজন হয়। পুরুষদের দরকার হয় ১৫.৫ গ্লাস বা ৩.৭ লিটার জল। কফ উপশমে গরম জল, চা বা সাইডারের মতো গরম তরল পানীয় পানের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: কেবল ভেসলিন নয়, সঙ্গে মেশান এই উপাদান, সারা শীতেই ঠোঁট থাকবে তুলতুলে নরম
নুন জলে গার্গল: নুন জলে গার্গল শ্লেষ্মা পাতলা করতে এবং গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস গরম জলে ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ নুন মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই জল মুখে নিয়ে মাথা পিছন দিকে হেলিয়ে গার্গল করতে হবে। হয়ে গেলে কুলকুচি করে ফেলে দিতে হবে জল। দিনে দুই থেকে ৩ বার গার্গল করার কথা বলা হয়। এতে শ্লেষ্মা তো পরিষ্কার হয়ই উপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন মুরগির মাংস খাচ্ছেন, অজান্তেই এই রোগগুলো বাসা বাঁধছে কি শরীরে
পিপারমেন্ট চা: পিপারমেন্ট চায়ে মেন্থল রয়েছে। এটা এসেনসিয়াল অয়েল যা ঠান্ডা এবং ফ্লু উপসর্গ যেমন কাশি, কফ, সর্দি, নাক বন্ধ এবং মাথাব্যথা উপশম করতে পারে। এই চায়ে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরকে সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।
হলুদ: হলুদ সুপারফুড। এটি ব্যথা উপশম করে, প্রদাহ কমায় এবং অনাক্রম্যতা বাড়ায়। এক গ্লাস গরম দুধে এক চা চামচ কালো গোলমরিচ, মধু এবং হলুদ মিশিয়ে পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটা শ্লেষ্মাকে গলিয়ে দেয়।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)