ইদানিং সকালে ঘুম থেকে উঠে থলে হাতে বাজারে যাওয়ার পাট চুকেছে। তাছাড়া কাচালঙ্কা একসঙ্গে অনেকটা কেনাই দস্তুর। কিন্তু সে সব রাঁধার সুযোগ থাকে না। এর অলিখিত নিয়ম হল, দু'দিনের মধ্যে কাঁচালঙ্কা খেয়ে ফেলতে হবে, নাহলে হয় শুকিয়ে যাবে, নয় তa নষ্ট হয়ে যাবে। এ থেকে বাঁচতে অনেকেই কাঁচালঙ্কা ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন। কিন্তু তাতেও বিশেষ সুবিধে হয় না। সবজির ট্রের এক কোণে অলক্ষ্যে সেগুলো পচে যায়। তবে কয়েকটা উপায় রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে কাঁচালঙ্কার জীবনকাল কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া যায়।
advertisement
জিপলক মেথড: এই পদ্ধতিতে এক মাসেরও বেশি সময় তাজা থাকে কাঁচালঙ্কা। প্রথমে লঙ্কাগুলোকে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে, যাতে পুরোপুরি আর্দ্রতা মুক্ত হয়। এবার ডাঁটি ছাড়িয়ে সেগুলো ভরে ফেলতে প্লাস্টিকের পাউচে। তারপর সিল করে দিতে হবে মুখ। তবে নিশ্চিত করতে হবে পাউচে যেন বাতাস না থাকে। এবার লঙ্কা ভর্তি প্লাস্টিক পাউচগুলোকে রাখতে হবে ফ্রিজের সবচেয়ে ঠান্ডা জায়গায়। রান্নার সময় প্রয়োজন মতো লঙ্কা বের করে আবার একইভাবে রেখে দিতে হবে। আরও বেশি সময় তাজা রাখতে চাইলে ফ্রিজারের আইস বক্সে পাউচগুলো রাখতে হবে।
ক্লিং ফিল্ম মেথড: প্লাস্টিকের পাউচ না থাকলে চিন্তার কিছু নেই। অন্য পদ্ধতিও আছে। এটাও সমান কার্যকর। এক্ষেত্রেও লঙ্কাগুলো ধুয়ে শুকeনোর পর ডাঁটি ছেঁটে একটা পাত্রে রাখতে হবে। তারপর তোয়ালে দিয়ে আরও একবার লঙ্কাগুলো মুছে নিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যাতে সামান্য ভেজাও না থাকে। এবার কাঁচালঙ্কা-সহ পাত্রটা মুড়ে দিতে হবে প্লাস্টিক র্যাপার দিয়ে। দেখে নিতে হবে যাতে ভেতরে বাতাস না থাকে। প্লেটটা ভালো করে মুড়ে নেওয়ার পর রাখতে হবে ফ্রিজে। এভাবে কাঁচালঙ্কাকে প্রায় এক সপ্তাহ তাজা রাখা যায়।
কাঁচালঙ্কা খারাপ হয়ে গিয়েছে বোঝা যাবে কী করে: কাঁচালঙ্কা বিবর্ণ হতে শুরু করলেই বুঝতে হবে খারাপ হচ্ছে। এরপর ধীরে ধীরে এগুলো নরম হয়ে যাবে। অনেক সময় বাজে গন্ধও ছাড়ে। এমন হয়ে গেলে কাঁচালঙ্কা ফেলে দেওয়াই ভালো।