পড়াশোনার পাশাপাশিই অবশ্য এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বরখা। আদতে উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা তিনি। তবে পড়াশোনার জন্য়ই মূলত গত কয়েক বছর ধরে আলিগড়ে থাকছেন বরখা। বাতিল করে দেওয়া জিনিস দিয়ে তিনি যে সুন্দর সুন্দর সামগ্রী বানান, সেগুলো ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। নিজেই এই গল্প শোনালেন তরুণী।
আরও পড়ুন: যমজ বাছুরের জন্ম দিল গরু, বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকতে উপচে পড়ল ভিড়
advertisement
বরখা রাওয়াতের কথায়, “আমি আলিগড়ের গঙ্গা প্রসাদ স্কুল থেকে বি.কম পাশ করেছি। বর্তমানে বাচ্চাদের হাতের কাজ শেখাই। আসলে আমি বাতিল করে দেওয়া জিনিসপত্র ব্য়বহার করেই নানা সামগ্রী বানাই। কারণ এই বাতিল হওয়া জিনিসপত্র পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী। আর বাতিল হওয়া এইসব দূষণকারী জিনিস দিয়ে যদি আমরা প্রয়োজনীয় সামগ্রী বানিয়ে নিতে পারি, তাহলে পরিবেশ দূষণের সমস্যা দূর করা সম্ভব। আর সেই কারণেই আমি বাতিল হওয়া জিনিসপত্র দিয়ে এই ধরনের সামগ্রী বানিয়ে থাকি।”
আরও পড়ুন: সংসদ হানায় চর্চায় এক জুতো, কী ছিল তার মধ্যে? শুনেই চমকে যাচ্ছে গোটা দেশ
কিন্তু কী কী সামগ্রী বানান বরখা? বাতিল হওয়া বোতল ব্য়বহার করে কানের দুল তৈরি করি। শুধু তা-ই নয়, এই ফেলে দেওয়া বোতল দিয়ে নানা রকম গয়নাও বানাই। নারকেলের ছোবড়া ব্য়বহার করে আমি ভাস্কর্যও তৈরি করেছি। আবার পলিথিন দিয়ে ব্য়াগ, ডোর ম্য়াটের মতো দরকারি সামগ্রী বানিয়ে ফেলি। বিগত প্রায় ৫-৬ বছর ধরে আমি এই কাজ করছি।
ওই তরুণী আরও বলেন, “আমি দেখতাম মানুষ অব্য়বহৃত জিনিস ফেলে দিচ্ছে, আর সেটা থেকে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তখনই ওই ফেলে দেওয়া জিনিসগুলি থেকে নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করার আইডিয়া মাথায় আসে।” বরখার বাড়িতে রয়েছেন তাঁর মা-বাবা এবং ভাই। তাঁর বাবা রেস্তোরাঁয় কাজ করেন আর মা একজন গৃহবধূ। এখন ফেলে দেওয়া বর্জ্য় জিনিসপত্রকে দরকারি সামগ্রীর রূপ দেওয়ার কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য়ে অনড় বরখা।