আরও পড়ুন: আরও সুন্দর বানান সম্পর্ক, বুঝুন আর বোঝান! রইল সহজ কিছু উপায়...
রোজ এবং প্রোপোজ ডে এর পরেই আসে চকোলেট ডে (Happy Chocolate Day)। অনেক দম্পতি মিষ্টি খাবার বানানোর জন্য় বেকিং এবং চকলেট তৈরির ক্লাসে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে। যদি আপনি এবং আপনার প্রিয়জন মিষ্টি ভালবাসেন, তবে চকোলেট ডে (Happy Chocolate Day) মিস করবেন না।
advertisement
এটি একটি খ্রিস্টান অনুষ্ঠান। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে সম্মানিত করা হয় এই দিনে। অনেক দেশে এটি সংস্কৃতির দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসাবে স্বীকৃত কিন্তু কোনো দেশেই সরকারি ছুটির দিন হিসেবে বিবেচিত হয় না। ভিক্টোরিয়ান সময় থেকে পুরুষ এবং মহিলারা একে অপরকে যে উপহার দিয়েছিলেন তার খুব বড় অংশ ছিল চকোলেট। ওয়াশিংটন ডিসি-তে স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, ১৯ শতকে একটি ব্রিটিশ পরিবার তাদের কোকো মাখন ব্যবহার করার উপায় খুঁজছিল। রিচার্ড ক্যাডবেরি যার সমাধান বাতলে দেন।
আরও পড়ুন: হ্যাপি প্রোপোজ ডে! মনের কথা বলতে সঙ্গী হোক এই শুভেচ্ছাবার্তা!
ভিক্টোরিয়ান যুগে রিচার্ড ক্যাডবেরি নামে এক চকোলেট-বিক্রেতা হার্ট-শেপড বাক্সে চকোলেট ভরে বিক্রি করতেন ভ্যালেন্টাইন উইকে। সেখান থেকে মনের মানুষকে চকোলেট উপহার দেওয়ার রীতি দেখতে দেখতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে শুধুই হার্ট-শেপড বক্সে নয়, ক্যাডবেরির কোম্পানি এখন নানা রকম চকোলেট তৈরি করে থাকে, যা চকোলেট ডে-র পাশাপাশি সারা বছর ধরেই বিক্রি হয়।
১৯৫০ সাল থেকে জাপানেও ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে চকোলেট উপহার দেওয়ার প্রথা শুরু হয় মোরোজফ নামের এক চকোলেট প্রস্তুতকারী সংস্থার হাত ধরে। তবে ওই দেশে কেবল প্রেমিকারাই চকোলেট উপহার দেন পুরুষদের।
এভাবেই শুরু হল চকোলেট ডে-র (Happy Chocolate Day) পথচলা। যা উনিশ শতক পার করে একুশ শতকেও সমান জনপ্রিয়।