পশ্চাদ্দেশ অথবা গ্লুটিল পেশির উপর কী ভাবে উচ্চ কোলেস্টেরল প্রভাব ফেলে?
উচ্চ কোলেস্টেরল জমে ধমনীর ভিতর প্লাক তৈরি হয়। আর তার ফলে রক্ত প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। আর রক্ত সঞ্চালন সঠিক ভাবে না-হওয়ার ফলে দেহের সমস্ত পেশী পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। ফলে সেই সব অংশে ব্যথা সৃষ্টি হয়। আর কাজ করার সময় সেই যন্ত্রণা আরও বাড়ে। বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে, উচ্চ কোলেস্টেরলের প্রভাব সবার আগে পড়ে পশ্চাদ্দেশের পেশীর উপর। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, উচ্চ কোলেস্টেরলের বহু রোগী জানিয়েছেন যে, ওই অংশে তাঁদের প্রচণ্ড যন্ত্রণা রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মরশুম বদলের জেরে গলা ব্যথায় জেরবার? ঘরোয়া টোটকাতেই হবে সমস্যার সমাধান
এটা কি উদ্বেগের বিষয়?
আমরা আসলে কোলেস্টেরল এবং পশ্চাদ্দেশে ব্যথার যোগসূত্রটাই জানি না। ফলে বিষয়টাকে গুরুত্বই দিই না। আসলে এই সমস্যাকে সাধারণত আমরা হাড়ের সমস্যা কিংবা আর্থ্রাইটিস বলে দেগে দিয়ে থাকি। সাধারণ মানুষ চট করে পশ্চাদ্দেশের পেশী এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের যোগসূত্রটা ধরতে পারে না। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট বলছে, কোলেস্টেরল জমা হতে হতেই রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। আর এটার কারণে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ হয়। যার প্রভাব পড়ে পশ্চাদ্দেশ, পা এবং পায়ের পাতার উপর।
আরও পড়ুন: বদহজমের সমস্যা থেকে কিছুতেই মুক্তি পাচ্ছেন না? নিমেষেই আরাম দেবে এই ৫ উপাদান
উপসর্গ
অল্প কাজ করেই যদি পশ্চাদ্দেশে যন্ত্রণা হয়, তা-হলেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এমনকী হাঁটার সময়ও এই যন্ত্রণা হতে পারে। পরে এই যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়তে পারে থাই এবং কাফ-এর অংশেই। আর এই যন্ত্রণার তীব্রতা নির্ভর করে কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর। আর প্লাক জমার কারণে কোথায় কোথায় রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, তার উপরও যন্ত্রণার তীব্রতা নির্ভর করে। সাধারণত বিশ্রামের পরে এই ব্যথা চলে যায়, কিন্তু এক্সারসাইজ করলে তা আবার ফিরে আসে। আর একটা উপসর্গ রয়েছে। পা অথবা পায়ের পাতার ত্বকের রং পরিবর্তন এবং নখের রঙ পরিবর্তন দেখেই এই রোগের আভাস পাওয়া সম্ভব।
প্রতিরোধের জন্য কী কী করণীয়?
উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি, কৃত্রিম সামগ্রীতে ভরপুর খাবার খুবই বিপজ্জনক। এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাই কেক, বিস্কুট, মাংস, পাই, সসেজ, পাম অয়েল সমৃদ্ধ খাবার, ক্রিম, হার্ড চিজ এবং মাখন খাওয়া থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)