সাধারণত অতিরিক্ত ওজন হলে হাই কোলেস্টেরলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে বলে ধরা হয়। তবে এছাড়াও কিছু লক্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল পা। তাই পায়ে এই লক্ষণগুলো দেখলে উপেক্ষা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বরফ ঠান্ডা পা, পায়ের পাতা: শরীরে হাই কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকলে মাঝে মধ্যেই পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যায়। মনে হয় পা যেন অসাড় হয়ে গিয়েছে। সারা বছর তো বটেই প্রবল গরমেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ফেলে না রেখে চিকিৎসককে দেখিয়ে নেওয়া জরুরি।
advertisement
আরও পড়ুন - সকাল সকাল গরম জলে মধু মিশিয়ে খান? চরম ক্ষতি করছেন না তো শরীরের? জানুন আয়ুর্বেদ যা বলছে
ত্বকের রঙে পরিবর্তন: হাই কোলেস্টেরলের কারণে রক্তের প্রবাহ হ্রাস পায়। এর ফলে ত্বকের রঙে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ায় ত্বকে পর্যাপ্ত পুষ্টি এবং অক্সিজেন পৌঁছতে পারে না। ফলে কোষ পুষ্টির ওভাবে ভোগে। এর ফলে ত্বক ফ্যাকাসে দেখাতে পারে। অনেক সময় চেয়ার বা টেবিল থেকে পা ঝুলিয়ে রাখলে ত্বক বেগুনি বা নীলাভ মনে হতে পারে।
ব্যথা: পায়ে ব্যথা পিএডি-র সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে একটা। ধমনীতে ব্লকেজ চলে আসায় পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত শরীরের নিচের অংশে পৌঁছয় না। এর ফলে পা ভারি হয়ে যায় এবং ব্যথা হয়। হাই কোলেস্টেরলে ভোগা বেশিরভাগ রোগীই শরীরের নিচের অংশে ছুঁচ ফোটানোর মতো ব্যথার কথা বলেন। কোমর, উরু বা নিতম্ব থেকে পায়ের যে কোনও অংশে এই ব্যথা হতে পারে।
আরও পড়ুন - বিবাহিত পুরুষদের কয়েকগুণ 'শক্তি' বৃদ্ধি করে! প্রেমের বাঁধনে সঙ্গীদের বেঁধে রাখে রাতদিন...
রাতে পায়ে ক্র্যাম্প: ঘুমের সময় তীব্র পায়ের ক্র্যাম্প হল উচ্চ কোলেস্টেরলের আরেকটি সাধারণ লক্ষণ। এতে নিম্নাঙ্গের ধমনী আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যক্তিদের ঘুমের সময় সাধারণত গোড়ালি বা পায়ের আঙ্গুলে ক্র্যাম্প বা খিঁচুনি দেখা দেয়। বিছানা থেকে পা ঝুলিয়ে রাখা বা বসে থাকলে অনেকটা স্বস্তি মেলে।
পায়ে ঘা বা আলসার: হাই কোলেস্টেরলে অনেক সময় পায়ের পাতায় ঘা বা আলসার হয়। চিকিৎসা না করালে এই ধরনের আলাসার বার বার হতে পারে। হাই কোলেস্টেরলের ফলে পায়ে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এটা তারই ইঙ্গিত।