কিন্তু এখন এই হিঞ্চে শাক দিয়ে তৈরি হচ্ছে চপ বা পকোড়া। যা শহর অঞ্চলে তুলনায় প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে ব্যাপক হারে হিঞ্চে চপের চাহিদা বেশি। হুগলি জেলার গোঘটের এই চপ বানিয়ে সাড়া ফেলেছেন বিক্রেতা হারাধন মণ্ডল। এই হেলেঞ্চা পাতা চপ স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর ও মুখরোচক। জানা যায়, চপ বানাতে হেলেঞ্চা শাক ছাড়াও লাগে ময়দা, চালের গুঁড়ো, আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কার গুঁড়ো। সব এক সঙ্গে মেখে গরম তেলে ভেজে তৈরি হয় এই সুস্বাদু চপ। মাত্র ৫ টাকায় হেলেঞ্চা পাতার চপ তৈরি করতে না করতেই ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ে হারাধন বাবুর দোকানে।
advertisement
আরও পড়ুন: অটিজম কেড়েছে কথা, তবে সুরেলা কার্তিককে থামায় কে? সা রে গা মা পা-এর মঞ্চে ‘মিরাকেল’ দেখুন
উল্লেখ, এই শাকের বহু উপকারিতা নিয়মিত খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও বাড়ে। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য, হাঁপানি, ডায়রিয়া ও স্নায়ুরোগের ভেষজ চিকিৎসায় হেলেঞ্চা পাতার জুড়ি মেলা ভার। এই হেলেঞ্চা পাতার পকোড়া হারাধান বাবু মাত্র পাঁচ টাকায় বিক্রি করছেন। এই বিষয়ে হারাধন বাবু জানান, “দোকানে সন্ধে হতে না হতেই বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। হেলেঞ্চা পাতা এই গরমে ভীষণ উপকারী এই পাতা। তাই স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এই হেলেঞ্চা পাতা দিয়ে চপ বিক্রি করছেন দুবছর ধরে।”
আরও পড়ুন: ওষুধের দোকানেও চুরি? কী নিয়ে পালাল চোরেরা, ভাবতে পারবেন না!
আশপাশে আর কোনও দোকানেই পাওয়া যায় না। এই হেলেঞ্চা পাতা তিনি বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করে আনেন। অন্যদিকে, এক ক্রেতা জানান, “হেলেঞ্চা পাতা ভাতে খেতে যতটা খারাপ ততটাই অসাধারণ চপের টেস্ট।” মুচমুচে টেস্টি চপ একবার খেলেই বারবার দোকানে আসছেন ক্রেতারা।
Suvojit Ghosh