অক্ষর যোগ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা হিমালয় সিদ্ধা অক্ষর আমাদের জানিয়েছেন, “আমরা সংযত আহার এবং যোগব্যায়ামের মাধ্যমে হার্টকে স্বাস্থ্যকর রাখতে পারি। হার্ট আমাদের সারা শরীরে রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহে সাহায্য করে। তবে খারাপ খাদ্যাভাস, জীবনযাপন এবং মানসিক চাপ আমাদের হৃদযন্ত্রকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।”
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, শুধু ভাল খাবারই নয়, নিয়মিত ভাবে সঠিক সময়ে খাওয়ার অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্যকর জীবনধারার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোয় এবার মদ কিনতে বিরাট সমস্যা হবে? লোকসানের আশঙ্কায় পুলিশের দ্বারস্থ আবগারি দফতর
আমাদের উচিত খাওয়ার সময় মনোযোগ সহকারে খাওয়া। এতে অতিরিক্ত খাওয়া বা ওজন বৃদ্ধি এবং হার্টের সমস্যা রোধ করা যেতে পারে।
প্রতিদিনের ডায়েটে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিযুক্ত প্রোটিনের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
মন দিয়ে খাওয়া আমাদের প্রেসার রোধে সাহায্য করে।
যাঁরা খাওয়ার সময়ে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন যেমন ফোন দেখা বা টিভি দেখা বা কিছু পড়া তাঁদের সাধারণত হজমে সমস্যা হতে পারে।
হিমালয় সিদ্ধা অক্ষর ভাল অভ্যাস তৈরি করার জন্য কিছু সহজ পরামর্শ দিয়েছেন –
১. বিরতি: খাওয়া শুরু করার আগে, কিছুক্ষণ বিরতি নিতে হবে।
২. আমরা যখন খাই তখন আমাদের খাবারের রঙ, টেক্সচার এবং সুগন্ধের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
৩. খাবার সর্বদা ধীরে ধীরে চিবিয়ে পরিপূর্ণ রূপে খেতে হবে।
আরও পড়ুন: বিমানের শৌচাগারে ‘সন্দেহজনক’ বস্তু! বোমাতঙ্কে জরুরি অবতরণ, শেষে যা উদ্ধার হল কল্পনাতীত
৪. খাওয়ার সময় টেলিভিশন বা স্মার্টফোন ব্যবহারের অভ্যাস এড়িয়ে চলা উচিত। শুধুমাত্র খাবারের উপর মনোযোগ দিতে হবে।
৫. খাওয়ার সময় স্বাদের ওেপর ভরসা না করে ক্ষুধাপূর্তির অভ্যাস গড়তে হবে।
নিয়মিত সঠিক খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও হিমালয় সিদ্ধা অক্ষর কিছু সহজ যোগব্যায়াম করারও পরামর্শ দিয়েছেন-
১. মাউন্টেন পোজ (ত্বদাসন): দুই পা একসঙ্গে জড়ো করে দাঁড়াতে হবে, কাঁধ শিথিল রেখে হাতের তালু সামনের দিকে রাখতে হবে। এই যোগাসন ভাল অঙ্গবিন্যাস তৈরি করে।
২. ব্রিজ পোজ (সেতুবন্ধাসন): হাঁটু সামনের দিকে বাঁকিয়ে নিতম্বের ওপর শুতে হবে। এই ভঙ্গিটি পিঠকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
৩. চাইল্ডস পোজ (বালাসন): মেঝেতে হাঁটু গেড়ে গোড়ালির উপর বসতে হবে এবং সামনের দিকে হাত প্রসারিত করতে হবে। এই শিথিল ভঙ্গি মানসিক চাপ কমাতে এবং মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
৪. কর্পস পোজ (শবাসন): পিঠের উপর হাত রেখে পা কিছুটা আলাদা করে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর চোখ বন্ধ করে শ্বাসের ওপর মনোনিবেশ করতে হবে। শবাসন শরীরকে শিথিলকরণ এবং চাপ কমানোর জন্য চমৎকার কার্যকরী।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং সংযত খাওয়া ও যোগাসন আমাদের স্বাস্থ্যকর হার্টের চাবিকাঠি। এই সহজ কিন্তু কার্যকরী অভ্যাস স্ট্রেস হ্রাস করতে, উন্নত রক্ত সঞ্চালনে এবং ফিটনেস বজায় রাখতে সাহায্য করে। হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য এই সামগ্রিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে যে কেউ সুস্থ হৃদযন্ত্র এবং সুখী জীবনের অধিকারী হতে পারবেন।