গত কয়েক বছরে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগ, এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা অনেকটাই বেড়েছে। এমনকী স্কুল পড়ুয়াদের আচমকা মৃত্যুর অনেক ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রতিক কালে।
কেন এমন ঘটছে তা নিয়ে সকলেই সন্দিহান। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ময়াঙ্ক জৈন মনে করেন, এই পরিস্থিতিতে ৩৫ বছরের কমবয়সী যুবক-যুবতীদেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। যত্ন নিতে হবে হৃদযন্ত্রের।
advertisement
আরও পড়ুন- মোবাইল ‘সাইলেন্ট কিলার’,ধ্বংস করছে মানসিক স্বাস্থ্য, বিশেষজ্ঞদের কথায় চমকে যাবেন
ডা. জৈন বলেন, ‘এর সবচেয়ে বড় কারণ তরুণদের জীবনযাপন ও ভুল খাদ্যাভ্যাস। বর্তমানে ধূমপান ও মদ্যপানের প্রবণতা অনেকটা বেড়েছে। কিছুদিন মদ্যপান বা ধূমপান করলেই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রায় প্রভাব পড়ে। প্রভাবিত হয় রক্তচাপও। এই দু’টি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলেই হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।’
তবে শুধু ধূমপান বা মদ্যপানই নয়। অতিরিক্ত ‘জাঙ্ক ফুড’-ও শরীরের ক্ষতি করছে বলে তাঁর মত। এতে ধমনীর উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। তাছাড়া, জাঙ্ক ফুড ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতাও বাড়াতে পারে। এতেও হৃদযন্ত্র দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
তার উপর রয়েছে জীবনযাত্রা সংক্রান্ত সমস্যা। অতিরিক্ত মানসিক চাপও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া পারিবারিক হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে তো অতিরিক্ত সতর্ক হওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে কবাডি খেলার সময় মাত্র ২০ বছরের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। খেলতে খেলতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাঠে বাইরে গিয়ে বমি করতে শুরু করেন। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন- কৈশোরে মেকানিক! এখন বুর্জ খলিফায় সোনায় সাজানো ২২ ফ্ল্যাট এই শিল্পপতির
তেজস নামের ওই ছাত্র ইন্দোরের বৈষ্ণব ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট-এ বিবিএ পড়ছিলেন। বরাবরই খেলাধুলোর পারদর্শী ছিলেন। শরীর তাঁর সুস্থ ছিল বলেই দাবি করেছেন পরিবারের লোকজন। গত সোমবার, কবাডি ম্যাচের কথা বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর বাড়িতে আসে তাঁর মৃত্যু সংবাদ।
তাঁর প্রশিক্ষক রাঘব জয়সওয়াল জানান, ‘তেজস মাঠের বাইরে বেরিয় বমি করতে শুরু করে। বমির সঙ্গে রক্ত দেখেই আমরা ভয় পেয়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সিপিআরও দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বাঁচানো গেল না।’