বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্টের সমস্যার পিছনে মূল যে কারণগুলি আছে সেগুলি হল অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইল, শরীরচর্চার অভাব, স্ট্রেস, ধূমপান, মদ্যপান, ঘুমের অভাব, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া। এছাড়াও ডায়াবিটিস বা হাইপার
টেনশনের মতো অসুখ যদি থেকে থাকে তা হলে আরও সাবধান হওয়া উচিত। বিশেষ করে রোগী যদি না জানেন তাঁর শরীরে এগুলি বাসা বেঁধেছে। এক গবেষণা বলছে, গত ২০ বছরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশই হল ৪০ এর নীচে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলছে ভারতে এক লক্ষ মানুষের মধ্যে ২৭২ জনের মৃত্যু হচ্ছে রক্ত জমাট বেঁধে কার্ডিয়োভাসকুলার ডিজিজে।
advertisement
মুম্বইয়ের এস এল রেহেজা হাসপাতালের চিকিৎসক ডক্টর হরেশ মেহেতা জানিয়েছেন, যখন রক্ত জমাট বেঁধে হৃদযন্ত্রে পৌঁছতে পারে না তখনও হার্ট অ্যাটক হয়। একেবারে এক জিনিস নয় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হৃদস্পন্দন কিছুক্ষণের জন্য বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। হার্ট অ্যাটাকের সময় মানুষ বুঝতেও পারে না। হার্ট অ্যাটাকই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
বুকে ব্যথা, হাঁপিয়ে যাওয়া, হাতে ও ঘাড়ে ব্যথা এগুলি আগাম আভাস দেয় হার্ট অ্যাটাকের। আবার কিছু ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গই থাকে না। চিকিৎসক বলছেন এর কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই। কিন্তু কোন জীবন যাপনের মধ্যে দিয়ে একজন যাচ্ছে তার উপরেই অনেকটা নির্ভর করে। তবে হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হল ধূমপান। এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, জাঙ্ক ফুড, স্ট্রেসের মতো কিছু বিষয়।
এছাড়াও তরুণ প্রজন্মের অনেকেই হার্টের কোনও চেক আপ না করেই জিমে গিয়ে শরীরচর্চা শুরু করেন যা মোটেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। বিশেষ করে ওয়েট লিফটিং এর মতো খুবই ক্ষতিকারক। অনেকে আবার সাপ্লিমেন্ট নেন যা অ্যারিদমিয়ার মতো অসুখের অন্যতম কারণ। তাই চিকিৎসকরা বার বার সুস্থ জীবনযাপনের দিকে মন দিতে বলছেন। তাঁদের কথায় ছোট থেকেই সুস্থ জীবন যাপন হার্ট অ্যাটাক এড়িয়ে চলতে পারে। বিশেষ করে কোভিডের প্রভাবও আছে। যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদেরও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
