সমীক্ষার ফলাফল
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ডিম খাওয়ার সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে বলে যতটা ভাবা হয় ততটাও যোগসূত্র নেই। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও অনেক বিতর্ক রয়েছে। অনেকই ডিম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে ভাবেন। তবে ডিমে নিঃসন্দেহে কোলেস্টেরলের পরিমাণ অন্যান্য অনেক খাবারের চেয়ে বেশি হলেও উপকারী বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ এবং অন্যান্য রোগ-প্রতিরোধী পুষ্টিও রয়েছে (Healthy Lifestyle)।
advertisement
আরও পড়ুন-Weight Loss: ওজন কমানোর জন্য সাবুদানা? ঠিকঠাক সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা?
ডিম কি কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়?
গবেষণা এবং তার পরবর্তী বিশ্লেষণে ধরা পড়েছে যে ডিম আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বা ঝুঁকির কারণগুলি যেমন প্রদাহ, ধমনী শক্ত হয়ে যাওয়া এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে না। দেখা গিয়েছে যে উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ব্রেকফাস্টের সঙ্গে তুলনা করলে, জলখাবারে ২টি ডিম খাওয়া রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে না। এমনকী ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের প্রতি সপ্তাহে ৬-১২টি ডিম খেলেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে না। বরং, এটি উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন, যা ভাল কোলেস্টেরল নামে পরিচিত, সেটি বাড়িয়ে দেয় (How Many Eggs you should eat)।
অন্য দিকে, অন্যান্য গবেষণায় ডিম খাওয়ার সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ ও মৃত্যুর অন্যান্য ঝুঁকির মধ্যে সম্পর্ক লক্ষ্য করা গিয়েছে। আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে হার্টের অসুখের সম্পর্ক রয়েছে, কারণ যে সকল খাবারগুলোয় কোলেস্টেরল বেশি থাকে সেগুলোতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্সফ্যাট বেশি থাকে, ফাইবার কম থাকে এবং ক্যালোরিও খুব বেশি থাকে। আবার অন্যান্য উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত খাবারের সঙ্গে ডিম খেলে কোলেস্টেরল বেশি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাহলে ক'টা করে ডিম রোজ খাওয়া যায়?
আমাদের জেনেটিক্স, পারিবারিক অসুখের ইতিহাস, ডিম রান্না করার পদ্ধতি, ডায়েটের অন্যান্য খাবার এইসব বিষয়গুলোর উপরো প্রতিদিন ক'টা করে ডিম খাওয়া উচিত তা নির্ভর করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্বাভাবিক কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি না থাকলে একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ১-২টি ডিম খেতে পারেন। তবে ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। সেক্ষেত্রে শারীরিক অবস্থা বিচার করে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়েই ডিম খাওয়া উচিত।