প্রোটিনের চাহিদা মেটানো
ইন্ডিয়ান মার্কেট রিসার্চ ব্যুরো পরামর্শ দিয়েছে যে ৮০% ভারতীয়র প্রোটিনের খাটতি রয়েছে। প্রোটিন আমাদের পেশি মজবুত করে এবং কোষগুলিকে সুস্থ রেখে এনার্জি দেয়। সেক্ষেত্রে প্রতিটি খাবারের সঙ্গে ২৫-৩০ গ্রাম প্রোটিন থাকলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। তাই প্রোটিন সমৃদ্ধ ডায়েট চাইলে, খাদ্যতালিকায় মুরগির মাংস, ডাল, দই, মাছ অথবা ডিম রাখা জরুরি। আমিষাশীদের জন্য মাছ প্রোটিনের খুব ভাল উৎস। মাছে ওমেগা-৩-র মতো ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
advertisement
আরও পড়ুন-Weight Loss: ওজন কমানোর জন্য সাবুদানা? ঠিকঠাক সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা?
কাটার পরে ধোয়া নয়
বেশিরভাগ মানুষই জানেন না যে সবজি এবং ফল কাটার আগে ধোয়া উচিত। যদি কাটার পরে ধোয়া হয় তাহলে এগুলির পুষ্টিও ধুয়ে যায়। এছাড়া ভাল কোনও প্রোডাক্ট দিয়ে সবজি, ফল ধুয়ে নেওয়া দরকার। এভাবে ধুলে জীবাণু এবং ক্ষতিকর পেস্টিসাইড যেগুলি আমাদের ইমিউনিটি নষ্ট করে দেয় সেগুলি সরিয়ে ফেলা যায়।
ডায়েট ব্যালেন্স
পুষ্টির মান সর্বাধিক বজায় রাখার জন্য প্রতিটি খাবারের ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুষম ডায়েটে পাঁচটি গ্রুপের খাবার থাকে: প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, খনিজ এবং ফ্যাট। আসলে সুষম খাবার খেলেই শরীর সঠিকভাবে কাজ করতে পারে এবং রোগের ঝুঁকি কমে।
নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা
জল মানুষের শরীরের ৬০% তৈরি করে, কিন্তু শরীরে এক বা দুই শতাংশ জলের অভাব অভাব হলেই ক্লান্তি-সহ বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে আমাদের শরীর সবসময় হাইড্রেটেড থাকে। সেক্ষেত্রে টাটকা শাকসবজি কিংবা তরমুজ অথবা আঙুরের মতো ফলের রস খেলে শরীরে তরলের পরিমাণ বাড়ে। পাশাপাশি পরিমাণ মতো জল খেলে তা শরীর থেকে টক্সিন বার করে দেয় এবং শরীরে পুষ্টির শোষণ বাড়ায়।
আরও পড়ুন-বিহার মধুচক্র; টাকার জন্য প্রতি রাতে স্ত্রীকে পরপুরুষের সঙ্গে যৌনতায় বাধ্য করতেন স্বামী!
সচল থাকা এবং দৈনিক এক্সারসাইজ
এক্সারসাইজ হরমোন নিঃসরণ করতে সাহায্য করে যা প্রয়োজনীয় খনিজ শোষণ করতে পেশির ক্ষমতা বাড়ায়। তা ছাড়া রক্ত সঞ্চালনকে বাড়ায় এবং হজম ক্ষমতা উন্নত করে।
তবে, অল্প সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে খাদ্যাভাস সংশোধন করলে তা ক্লান্তিকর হতে পারে এবং এমনকী স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আগ্রহও কমে যেতে পারে। তাই যে খাবার আমাদের আনন্দ দেয় এমন খাবারই খাওয়া উচিত, অনেক সময়ে ডায়েট কিছুটা পরিবর্তন করে জাঙ্ক খাবারও খাওয়া যায়। তবে ছোট ছোট ধাপে পরিবর্তনই সুস্থতার জন্য শরীরে পুষ্টির মান বাড়িয়ে দেয়।