আত্মহত্যা এবং এর প্রতিকার নিয়ে আলোচনার জন্য প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর তারিখটি ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশন ডে (World Suicide Prevention) হিসেবে পালন করা হয়। দিল্লির ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মনোবিদরা জানাচ্ছেন, কোভিড মহামারীতে, বিশেষ করে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে আত্মহত্যার পরিমাণ বহু গুন বেড়েছে। ১০৬৯ জনের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে ৫৫% মানুষ অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় ভুগেছেন, ২৭% মানুষ একবার বা তার বেশি সুইসাইড করার চেষ্টা করেছেন।
advertisement
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে তো বটেই, শিশুদের মধ্যেও মেন্টাল ডিজঅর্ডারের আভাস মিলছে। মহামারীতে দীর্ঘ দিন ঘরবন্দী অবস্থায় পড়ে থাকা, অনলাইন ক্লাসের প্রেসার, মেলামেশায় বাধা ইত্যাদি নানা কারণে শিশুদের মধ্যে ফুড ডিজঅর্ডার ও ব্যবহারগত পার্থক্য এসেছে। মনোবিদদের মতে অনলাইন ক্লাস কোনও ভাবেই তরুণ এবং শিশুদের মধ্যে মোটিভেশন জাগাতে পারছে না।
আরও পড়ুন- আলস্যের জন্য শরীরচর্চায় রুচি নেই? বাড়িতে চেয়ারে বসেও দিব্যি করা যায় 'এই' এক্সারসাইজ.
দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, হতাশা আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরেও জোরদার প্রভাব ফেলছে। তবে এরই মধ্যে আশার কথা শুনিয়েছেন মনোবিদরা। তাঁরা বলছেন, এখনকার প্রজন্ম হতাশা বা ডিজঅর্ডার নিয়ে অনেক বেশি সচেতন।
ফলে শুরু থেকেই তারা স্বচেষ্টায় নিজেদের সমস্যা আইডেন্টিফাই করতে সক্ষম এবং সেই মতো কাউন্সিলারের কাছে হাজিরও হচ্ছে তারা। বিশেষ করে অনলাইন অ্যাক্সেসের দৌলতে প্রফেশনাল সাইকোলজিস্ট বা কাউন্সিলারদের কাছে পৌঁছনো আগের চেয়ে অনেকটাই সহজ হয়েছে।
এবারে আসা যাক কী ভাবে আমাদের আশেপাশে কারও মধ্যে মেন্টাল ডিস্টার্বেন্সের লক্ষণ দেখা গেলে তাকে সাহায্য করা যেতে পারে! সে ক্ষেত্রে মনোবিদদের বক্তব্য, দায়িত্ব নেওয়ার প্রচেষ্টা, স্কিল ট্রেনিং, পছন্দের কাজ করা, সামাজিক মেলামেশা বাড়ানো, পরিবার বা পছন্দের মানুষের যত্ন নেওয়া, পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করা ইত্যাদি তরুণ বা শিশু-কিশোরদের মধ্যে মানসিক চাপ ও হতাশা কমাতে সাহায্য করবে! তবে তাতে কাজ না হলে অবশ্যই পেশাদারের পরামর্শ নেওয়া উচিত!