লক্ষণ—
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রতিদিনের কাজে বিরক্তি তৈরি হচ্ছে। পড়াশোনা হোক বা পেশাগত জীবন— তৈরি হচ্ছে মনোযোগের অভাব। কাজের প্রতি আগ্রহের হারানোও বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে খুবই সাধারণ বিষয়। অনেক সময়ই রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন অনেকে। আবার সারাদিন ঘুমিয়ে ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে পারেন না। এর কারণ হতে পারে অতিরিক্ত সময় মোবাইলে আটকে থাকা।
advertisement
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের খোসা থেকে লেবু! জেদি দাগ তুলে প্রেশার কুকার পরিষ্কারের সমাধান রান্নাঘরেই
একে তো মোবাইল বা ল্যাপটপের নীল আলোয় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তার উপর অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকার কারণেও মনের উপর চাপ পড়ে নানা ভাবে। তা থেকেই তৈরি হতে পারে মানসিক দুর্বলতা। অনেক রকম নেতিবাচক মনোভাবও জন্ম নেয় এথেকে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে গেলে নিজের মনের যত্ন নিতে হবে নিজেকেই। সেক্ষেত্রে কিছু টিপস মেনে চলা যেতে পারে—
১. নিজের জীবনের লক্ষ্য স্থির করে চলতে হবে। তারই পাশে রাখতে হবে নিজের ভাললাগার কোনও কাজ, বা শখ। ছোটবেলায় অনেকেই ছবি আঁকতে ভালবাসেন, কেউ নাচেন, গান করেন। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই সব ভাললাগার কাজ থেকে অনেকটা দূরে সরে যান। পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের চাপে নিজে আর প্রাধান্য দেওয়া যায় না। এখানেই আবার ঢুকে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া। তাতে হিতে বিপরীত হয়। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য ভাললাগার কাজ আঁকড়ে থাকা জরুরি। দিনের একটা সময় অবশ্যই নিজেকে ব্যস্ত রাখা দরকার সেই ভাললাগার কাজে।
২. প্রকৃতির মধ্যে একটা নিরাময় রয়েছে। কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও অবসর কাটানো প্রয়োজন এবং খানিকটা অবসর তুলে রাখতে হবে প্রকৃতির জন্য। সবুজ ঘাসে খানিকটা হাঁটা হোক, বা নদীর পাড়ে। তেমন সুযোগ না থাকলে ছাদেও হাঁটা যেতে পারে, যেখান থেকে খোলা আকাশ দেখা যায়। এই সময় কোনও ভাবেই মোবাইলটি নিজের সঙ্গে না রাখাই ভাল।
৩. মনের মধ্যে কোনও বিষণ্নতা শুরু হলেই কথা বলতে হবে। বন্ধু বা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মন খুলে কথা বলা দরকার। সমস্যা বাড়ছে মনে করলে নিজে থেকেই কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।