১. অনেকেই ঋতুস্রাব চলাকালীন কাপড় ব্যবহার করেন। এমনটা বহু কাল ধরেই চলে আসছে। বিশেষ করে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্যাড কেনার ক্ষমতা থাকে না বলেই এমনটা তারা করে থাকে। এই অভ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে।
২. পুরনো কাপড় কিন্তু আনহাইজিনিক। এটা থেকে ইউরিনারি এবং রিপ্রোডাক্টিভ ট্র্যাক্ট সংক্রমণ হতে পারে। দুই থাইয়ে ঘর্ষণের জেরে র্যাশ বেরোতে পারে। আর ৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাপড় না বদলালে সেটা থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে পারে। আর পিরিয়ডসের কাপড় পরিষ্কার করে শুকোতে দেওয়ার সঙ্গে সামাজিক একটা লজ্জাও জড়িয়ে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন-৮ কেজি পায়জোর, ২ কেজির আংটি; পরার মতো পা পেলে বিনামূল্যে দেবে নির্মাতা সংস্থা !
৩. পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের প্যাড খুব ভাল বিকল্প হতে পারে। আর এটা পরিবেশবান্ধবও বটে। অ্যাবসরবেন্ট কোর হিসেবে অর্গ্যানিক কটন অথবা হেম্প ব্যবহার করা যাবে।
৪. স্যানিটারি প্যাড এবং ট্যাম্পন পরিবেশের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে। কারণ এর মধ্যে থাকা রাসায়নিক অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর এটা বায়োডিগ্রেড হতে মাত্র ৬ মাস সময় লাগে।
৫. ডাইঅক্সিন এবং কীটনাশক হল অত্যন্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক। এর সংস্পর্শে এলে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। এর পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেম সাপ্রেশন, এন্ডোমেট্রিওসিস, ফার্টিলিটি সংক্রান্ত সমস্যা এবং ক্যানসারেরও ঝুঁকি বাড়তে পারে।
৬. টক্সিক শক সিন্ড্রোম হল বিরল। প্রচণ্ড শোষণকারী ট্যাম্পন ব্যবহারের সঙ্গে এই বিষয়টার যোগ রয়েছে।
৭. ট্যাম্পন ভ্যাজাইনাল ফ্লুয়িড শোষণ করতে পারে। এতে ভ্যাজাইনাল পিএইচ এবং ব্যাকটেরিয়াল ব্যালেন্স ব্যাহত হতে পারে।
আরও পড়ুন– দৈর্ঘ্যের বিচারে সবচেয়ে বড় রানওয়ে রয়েছে ভারতের কোন কোন বিমানবন্দরে ? দেখে নিন তালিকা
৮. মেনস্ট্রুয়াল কাপ হল মেডিকেল গ্রেড সিলিকন অথবা ল্যাটেক্স। এটা অনেকটা ঘণ্টার মতো আকৃতির হয়। এর সঙ্গে থাকে একটি ছোট্ট ডাঁটি কিংবা রিং। মাসিক শুরু হলে এটা ভ্যাজাইনাতে প্রবেশ করানো হয়। আর কাপটিতে মেনস্ট্রুয়াল রক্ত এসে জমা হয়। এতে লিকেজের আশঙ্কা আর অস্বস্তিও থাকে না।
৯. মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের সুবিধা হল এটা খুলে নিয়ে পরিষ্কার করে আবার পরে নেওয়া যাবে। প্রতি ৪-১২ ঘণ্টা এটা পুনর্ব্যবহার করা যায়।
১০. ইউরিনারি এবং রিপ্রোডাক্টিভ ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকে না। এমনকী ইমিউন সিস্টেম ডিসফাংশন, র্যাশ, দুর্গন্ধ বেরোনোর সমস্যাও এড়িয়ে চলা যায়।
১১. ডিসপোজেবল মেনস্ট্রুয়াল প্রডাক্টের তুলনায় মেনস্ট্রুয়াল কাপ নিরাপদ বিকল্প। এটার খরচও কম আর এটা পরিবেশবান্ধবও বটে।