দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরলে মাথার যন্ত্রণা!
করোনা মহামারীর হাত থেকে বাঁচাতে মাস্ক বড় ভূমিকা পালন করেছে, এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকার নানা কুফলও সামনে আসছে। অধিকাংশেরই অভিযোগ, ত্বকের বারোটা তো বাজছেই, মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে, শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
যাঁদের ঠাণ্ডার ধাত, সর্দি, অ্যাজমা, অ্যালার্জি বা ত্বকের সমস্যা আছে, তাঁদের মাস্ক পরাটা আরও সমস্যার। কিন্তু সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, নিজের এবং অন্যের নিরাপত্তার জন্যই সবাইকে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
advertisement
মাস্ক ব্যবহারে মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে কেন?
মাথার খুলির সঙ্গে নিচের চোয়ালকে যুক্ত রেখেছে টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট। দীর্ঘক্ষণ টাইট মাস্ক পরে থাকলে এখানে ব্যাথা হয়। কারণ মাস্ক পরে থাকার ফলে চোয়ালের স্বাভাবিক নড়াচড়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। তখনই চোয়ালের স্নায়ু মস্তিষ্কে ব্যথার সঙ্কেত পাঠায়। এটাকেই মাথার যন্ত্রণা বলে মনে হতে পারে।
এর থেকে বাঁচার উপায়-
১। কানে টান পড়ে এমন টাইট মাস্ক না পরাই ভালো। এতে কানের আশপাশের স্নায়ুতে চাপ পড়ে।
২। মাস্ক পরার পর চোয়াল এবং দাঁত কী অবস্থায় থাকছে খেয়াল রাখতে হবে। চোয়াল যেন স্বাভাবিক নড়াচড়া করতে পারে। টাইট মাস্ক চোয়ালের পেশি এবং দাঁতকে শক্ত করে তোলে।
৩। কিছু ঘাড়ের ব্যায়াম করলেও আরাম মিলবে।
চোয়ালের ব্যায়াম
১। মুখগহ্বরের উপরে জিভ স্পর্শ করাতে হবে। তার পর ধীরে ধীরে মুখটা খুলতে এবং বন্ধ করতে হবে। এতে মুখের পেশিতে চাপ পড়বে। চোয়ালে আরাম হবে।
২। অল্প হাঁ করতে হবে। এর পর নিচের চোয়ালটা একবার ডানদিকে, আরেকবার বাঁ দিকে নিয়ে যেতে হবে। এভাবে একেক দিকের চোয়ালে ৫ বার করে মোট ১০ বার ব্যায়ামটা করতে হবে।
মাস্ক ব্যবহার করাই এখন নিরাপদ
আর মাস দু'য়েক পর থেকে হয় তো মাস্ক ব্যবহার করতে হবে না। তবে তেমনটা হলে সরকার নির্দেশিকা জারি করবে। আপাতত যদি করোনা ভ্যাকসিন নেওয়াও থাকে, তবুও মাস্ক পরাই নিরাপদ।
আরও পড়ুন: পুজোর হুল্লোড়ে বদহজম ও পেটের সমস্যা? রান্নাঘরের উপাদানেই লুকিয়ে সমাধান