TRENDING:

Weight Loss: রোগা হতে ডায়েটিংই ভরসা, কিন্তু খাদ্য তালিকায় দুধ থাকলে কি ওজন আদৌ কমবে ?

Last Updated:

Weight Loss: ডায়েট চলাকালীন খাবার অথবা পানীয়ের তালিকায় দুধ আদৌ রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে ধন্দে থাকে বেশির ভাগ মানুষই।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: দুধের গ্লাস হাতে মা শিশু সন্তানের পিছনে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। প্রতিটা পরিবারে এই দৃশ্যটা বোধহয় আমরা কম-বেশি সকলেই চাক্ষুষ করে থাকি। আসলে ছোটবেলা থেকে আমরা এটা শুনেই বড় হয়েছি যে, বেড়ে ওঠার জন্য দুধের অবদান অপরিহার্য। সেই সঙ্গে দুধ (Milk) অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার, যা খেলে শরীর ভালো থাকে।
১. দুধ ও দুধ দিয়ে রান্না করা খাবার

প্রেসার কুকারে দুধ জাতীয় কিছু রান্না একদমই করা উচিত নয়। দুধ একটু গরম হলেই উথলে ওঠে। তাই দুধ দিয়ে কোনও রান্না প্রেসার কুকারে করা ঠিক নয়। কেবল রান্না করাই যে সমস্যা, তা-ই নয়, যেকোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে বড় দুর্ঘটনা।
১. দুধ ও দুধ দিয়ে রান্না করা খাবার প্রেসার কুকারে দুধ জাতীয় কিছু রান্না একদমই করা উচিত নয়। দুধ একটু গরম হলেই উথলে ওঠে। তাই দুধ দিয়ে কোনও রান্না প্রেসার কুকারে করা ঠিক নয়। কেবল রান্না করাই যে সমস্যা, তা-ই নয়, যেকোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে বড় দুর্ঘটনা।
advertisement

কিন্তু আজকালকার ব্যস্ত জীবনে শরীরের ওজনও ঊর্ধ্বমুখী। ফলে অনেকেই ওজন ঝরাতে (Weight Loss) ডায়েটের (Diet) পথ বেছে নেন। তাই ডায়েটে কোন খাবার অথবা কোন পানীয় খাওয়া হবে, তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। আর ডায়েট চলাকালীন খাবার অথবা পানীয়ের তালিকায় দুধ (Milk) আদৌ রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে ধন্দে থাকে বেশির ভাগ মানুষই। আসলে দুধের মধ্যে থাকে ফ্যাট এবং ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট, যা ওজন অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ওজন কমানোর (Weight Loss)  ক্ষেত্রে ডায়েট (Diet) প্ল্যানে কি দুধ রাখা উচিত?

advertisement

আরও পড়ুন  - ঝলমলে চুল ও ঝকঝকে ত্বক পেতে ডায়েটে থাকুক এই উপাদান

ব্যাপারটা আর একটু ভেঙে বলা যাক। আসলে দুধের মধ্যে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং হাই ক্যালোরি। আর ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে এই বিষয়টা নিয়েই আলাদা করে ভাবা দরকার। এক কাপ বা ২৫০ মিলিলিটার দুধে রয়েছে ৫ গ্রাম ফ্যাট এবং ১৫২ ক্যালোরি। এ বার যাঁরা লো-ক্যালোরি ডায়েট চার্ট ফলো করছেন, তাঁরা কি দুধ অথবা দুগ্ধজাত খাবার থেকে দূরে থাকবেন? দুধ খেলে কি ওজন বেড়ে যাবে?

advertisement

না, বিষয়টা ঠিক সে রকম নয়। দুধ খেলে উল্টে কয়েক কিলো ওজন ঝরে যাবে। আসলে দুধ হল উচ্চমানের প্রোটিনের উৎস। আর এই নিউট্রিয়েন্ট আমাদের পেশি গঠনে সহায়তা করে থাকে। এ ছাড়াও দুধে থাকে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি১২ এবং ভিটামিন ডি-এর মতো নিউট্রিয়েন্টস। এই পুষ্টিকর উপাদানগুলি দেহের হাড় মজবুত করে, মেটাবলিজম এবং ইমিউনিটি বাড়িয়ে দেয়। আর এক কাপ দুধ বা ২৫০ মিলিলিটার দুধে রয়েছে ৮ গ্রাম প্রোটিন এবং ১২৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। তাই ডায়েটে থাকলেও প্রতি দিন যদি সীমিত পরিমাণে দুধ খাওয়া হয়, তাতে কোনও রকম ক্ষতি হয় না।

advertisement

আরও পড়ুন - ক্যাভিটিমুক্ত দাঁত থেকে মজবুত হাড়, চিজের সুফল নিন চিনে

বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসা বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যাঁরা ডায়েট চলাকালীন খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত দ্রব্য রেখেছেন, তাঁরা নিজেদের ওজন খুব ভালো ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা নিজেদের কোমরের মাপও একদম ঠিকঠাক রাখতে পেরেছেন। আর ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস টাইপ-২, মেটাবলিক সিন্ড্রোম এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি এমনিতে অনেকটাই কমে যায়।

advertisement

তাই এটা বলাই যায় যে, যাঁরা ওজন ঝরাতে চাইছেন, তাঁদের ডায়েট তালিকা থেকে দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার বাদ না-দিলেও চলবে। একটা ব্যালেন্সড ডায়েটের প্রয়োজনীয় উপাদানই হল দুধ। আর দিনে এক কাপ দুধ খেলে শরীর তরতাজা থাকবে। তবে যাঁদের দুধ অথবা দুগ্ধজাত খাবার সহ্য হয় না, তাঁদের এটা এড়িয়ে চলাই ভালো। সে ক্ষেত্রে তাঁরা সোয়া অথবা বাদাম দুধ খেতে পারেন।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Weight Loss: রোগা হতে ডায়েটিংই ভরসা, কিন্তু খাদ্য তালিকায় দুধ থাকলে কি ওজন আদৌ কমবে ?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল