আসলে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেন উৎপাদন স্বাভাবিক ভাবেই কমে যায়। ফলে ত্বক কুঁচকে যায়, কিংবা ঝুলে যায়। আর গাঁট বা জয়েন্টগুলিও কঠিন হয়ে যায়। যেহেতু ত্বক আর জয়েন্টের পুষ্টির প্রয়োজন, তাই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি খাবারে ভরপুর ডায়েট মেনে চলতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশন (আইওএফ)-এর হিসাব বলছে, সারা বিশ্বে প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষ অস্টিওপোরোসিসে ভুগছেন। মূলত হাড়ের ঘনত্ব এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এতে।
advertisement
আরও পড়ুন-প্রেমানন্দ মহারাজের ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী, কলিযুগে যা ঘটতে চলেছে…শুনলে কেঁপে উঠবেন !
অস্টিওপোরোসিস এবং এর ঝুঁকি:
এএম মেডিক্যাল সেন্টারের কনসালট্যান্ট অর্থোপেডিক সার্জন এবং মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডা. অভিরূপ মৌলিক বলেন, ফ্র্যাকচার না হলে সাধারণত অস্টিওপোরোসিস হয়েছে, সেটা বেশিরভাগ মানুষই বুঝতে পারেন না। ঝুঁকি শনাক্ত করার ক্ষেত্রে নিয়মিত ভাবে বোন ডেনসিটি পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
ডা. অভিরূপ মৌলিক
হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে ইস্ট্রোজেন। আর মেনোপজ-পরবর্তী সময়ে মহিলাদের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়। তাঁদের অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বোন মিনারেল ডেনসিটি (বিএমডি) টেস্ট বিশেষ করে ডেক্সা স্ক্যানের মাধ্যমে অস্টিওপোরোসিস রোগ নির্ণয় করা যায়। মূলত পশ্চাদ্দেশ, কবজি এবং এপি স্পাইনে এটা করা হয়ে থাকে।
আবার যাঁদের বয়স ৬৫ বছরের উর্ধ্বে, তাঁদের অস্টিওপোরোসিস হওয়ার ঝুঁকি প্রবল। এর পাশাপাশি মেনোপজ-পরবর্তী সময়ে মহিলাদের, ক্যানসার রোগীদের, স্টেরয়েড চিকিৎসায় থাকা রোগীদের, শয্যাশায়ী রোগীদেরও এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বার্ধক্য প্রতিরোধে ত্বক পরিচর্যার ভূমিকা:
Radiantt Esthetics-এর মালিক এবং সেলিব্রিটি এস্থেটিক ফিজিশিয়ান ডা. দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, নির্দিষ্ট কিছু স্কিনের সমস্যার জন্য তৈরি করা হয় সিরাম। যা আদতে কনসেন্ট্রেটেড ফর্মুলা। এর ফলে তা যে কোনও স্কিনকেয়ার রুটিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা ত্বক ভেদ করে প্রবেশ করে এবং সক্রিয় উপকরণ সরবরাহ করে। যা বলিরেখা কমায় এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। বিশেষ করে রেটিনলের মতো অ্যান্টি-এজিং সিরাম এই কাজে সহায়ক।
ডা. দেবাশিস বিশ্বাস
হাইপারপিগমেন্টেশন এবং ডার্ক স্পটের জন্য ট্র্যানএক্সামিক অ্যাসিড সিরাম এবং বাইফেজিক সিরাম দারুণ কার্যকর। ভিটামিন সি সিরাম স্কিন টোন মসৃণ করে এবং গায়ের রঙে আনে ঔজ্জ্বল্য। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সিরাম ত্বককে নানা ভাবে রক্ষা করে।
ত্বক ও হাড়ের স্বাস্থ্যের ভিত্তি:
এএম মেডিক্যাল সেন্টারের ডায়েটিশিয়ান জয়তী বলেন যে, মহিলারা যদি অল্প করে প্রতিদিন তিলের বীজ, আতার মাংসল অংশ, পুরোপুরি সেদ্ধ ডিম খান, তাহলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হবে না। সেই সঙ্গে রোদ পোহানো এবং মাশরুম সেবনও জরুরি। এতে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা মেটে। ফলে হাড়ের সমস্যা হবে না। আর এই সমস্ত খাবারে দুধের তুলনায় বেশি ক্যালসিয়াম থাকে।
ডায়েটিশিয়ান জয়তী
শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি৩ থাকলে ফোলা ভাবের মতো সমস্যা কমে যায়। মন-মেজাজ এবং ত্বকের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। এর পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু ভেষজ এবং আয়ুর্বেদিক উপাদান খেতে হবে। যার মধ্যে অন্যতম হল – হার্বাল টি, কাঁচা হলুদ, কাঁচা রসুন এবং কারি পাতা। পুষ্টি সমৃদ্ধ ডায়েটের পাশাপাশি সঠিক মেডিক্যাল গাইডেন্সও জরুরি। এভাবেই হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব। সেই সঙ্গে ত্বকও থাকে জেল্লাদার।