গুড় কী: গুড় হল বিভিন্ন উদ্ভিজ্য উৎস থেকে প্রাপ্ত বাদামি চিনি। সোজা কথায়, রস জাল দিয়ে তৈরি। তাই একে নন সেন্ট্রিফুগাল সুগারও বলা হয়। এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে গুড় ব্যাপক প্রচলিত। একেবারে চেটেপুটে খাওয়া হয়। তবে অনেকেই জেনে অবাক হবেন, বিশ্বের প্রায় ৫৫ শতাংশ গুড় উৎপাদন হয় ভারতে। এর স্বাদের সঙ্গে কোনও মিষ্টির তুলনা চলে না। খনিজ এবং প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও গুড়ের তুলনা নেই। শীতের মরশুমে স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের রোদে চামড়ায় পোড়া দাগ? ঘরোয়া এই টোটকা দারুণ কাজের, জানুন
আখের গুড়: আখের রস থেকে তৈরি সবচেয়ে সাধারণ গুড়। তাই একে আখের গুড় বলা হয়। অনেকে আবার চিনির গুড়ও বলেন। যেহেতু আখের রস থেকে চিনি তৈরি হয়, তাই আর কী! দেখতে হালকা থেকে মাঝারি বাদামি রঙের। আখের রসকে ফুটিয়ে, মন্থন করে, পরিশোধনের পর তৈরি হয় আখের গুড়। প্রথমে তরল থাকলেও পরে জমাট বেঁধে যায়। এর দুর্দান্ত মিষ্টি স্বাদ এবং রঙের জন্য অনেকে মুড়ি কিংবা চিঁড়ের সঙ্গে আখের গুড় মিশিয়ে খান।
আরও পড়ুন: শিক্ষকও তিনি, ঝাড়ুদারও তিনি! জলপাইগুড়ির স্কুলে অদ্ভুত কাণ্ড
খেজুর গুড়: এর স্বাদের তুলনা হয় না। চকোলেটের মতো রঙ। আর খেতে অমৃত। খেজুর রসকে জাল দিয়ে বানানো হয় এই গুড়। খেজুর গুড় বেশ কয়েকটি খনিজ সমৃদ্ধ। এর থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্যের জন্যও এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক। শীতকালে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে-গঞ্জে এই গুড়ের মেলা বসে যায়। এর পুষ্টিগুণও অন্যান্য গুড়ের তুলনায় বেশি।
নারকেল গুড়: নারকেলের রস থেকে তৈরি এই গুড় ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনে সমৃদ্ধ। এটি সাধারণ সুক্রোজ নয়। কোনও কৃত্রিম পদার্থ দেওয়া হয় না। গামে গঞ্জে এই গুড় 'মাদ্দা বা সুরি গুড়' নামে পরিচিত। গোয়ার রন্ধনশৈলীতে এই গুড়ের ব্যাপক চল।
কোন গুড় সবচেয়ে ভাল: নারকেল হোক কিংবা খেজুর, প্রতিটা গুড়ই খনিজ এবং ভিটামিনে সমৃদ্ধ। পুষ্টিগুণের দিক থেকে দেখলে তালের গুড় সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। কারণ এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। মরশুমি জ্বরজারি থেকে তো বাঁচায়ই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।