যাঁরা রান্নাঘরে বেশি সময় থাকেন তাঁদের এই টিপ অবশ্যই কাজে লাগবে। হাতের নখ কখনও খালি বা উন্মুক্ত রাখলে হবে না। নখে বেস কোট, নেল পালিশ, টপ কোট দেওয়া থাকলে সেগুলো নখের উপর বর্মের মতো কাজ করে। এই কোটিং নখকে জল থেকে রক্ষা করে। ফলে নখ নরম হয়ে গিয়ে ভেঙে যাবে না বা উপড়ে আসবে না। তাই সব সময় নখে নেল পালিশ লাগিয়ে রাখা দরকার।
advertisement
আরও পড়ুন: ব্যবহার তো করেন, কন্ডোমের বাংলা নাম কি জানেন? মনেই করতে পারছেন না অধিকাংশ মানুষ
১ টেবিল চামচ বাদাম এবং ক্যাস্টর অয়েল নিতে হবে, এতে সামান্য হ্যান্ড ক্রিম মেশাতে হবে। এই মিশ্রণে নখ প্রায় ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর মিশ্রণ থেকে হাত বের করে নিয়ে মিশ্রণটি হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। এটি শুধু নখ নয়, তার সঙ্গে সঙ্গে হাতকেও পুষ্টি যোগাবে এবং ময়েশ্চারাইজ করবে।
ত্বক ও চুলের মতোই শীতকালে নখের আর্দ্রতা থাকে না। তাপমাত্রা যত কমতে থাকে, আর্দ্রতাও তত কমে। ঠাণ্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া থেকে নখ রক্ষা করতে হলে আর্দ্রতার জোগান দিয়ে যেতে হবে। এর জন্য একটা ভাল হ্যান্ড ক্রিম হাতে ও নখে লাগাতে হবে এবং ভাল করে মাসাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: আড়াই লক্ষ টাকা খরচা করে স্ত্রী-র সিলিকনের মূর্তি গড়ালেন ৬৫-র বৃদ্ধ, কারণ শুনলে চমকে যাবেন!
হিউমিডিফায়ার শুষ্ক ও ঠাণ্ডা বাতাসকে উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাসে পরিণত করে দিতে পারে। উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাস ত্বক, চুল ও নখের জন্য ভাল। যদি বাড়িতে হিউমিডিফায়ার না থাকে তাহলে একটা ভাল দেখে কিনে নেওয়াই যেতে পারে। যদি হিউমিডিফায়ার কিনতে ইচ্ছা না করে তাহলে একটা বড় পাত্রে কিছুটা জল ফুটিয়ে ঘরে আর্দ্রতা সৃষ্টি করা যেতে পারে।
অনেক সময় দেখা যায় হাত দিয়ে টেনে বা পিছনে ঠেলে নখের চারপাশের কিউটিকল তোলা হচ্ছে। কিউটিকল কিন্তু শত্রু নয়। বরং কিউটিকল হল নখের প্রতিরক্ষা করার জন্য এক প্রকার বর্ম। ময়েশ্চারাইজার বা তেল দিয়ে কিউটিকল ভাল রাখলে নখ ও সুরক্ষিত এবং ভাল থাকবে।
নখের যত্নের জন্য কাজ করার সময় গ্লাভস বা দস্তানা পরলে ভাল হবে। এতে নখ শুষ্ক ও ময়লা হবে না। তাছাড়া ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকেও নখ রক্ষা পাবে এবং ভাঙবে কম।
অনেক সময় দেখা যায় যে নখে বা হাতে যত বেশি করে ময়েশ্চারাইজার লাগানো হচ্ছে তত বেশি করে নেল পালিশের ঔজ্জ্বল্য কমে যাচ্ছে। এর কারণ হল ময়েশ্চারাইজারের মধ্যে যে তেল আছে সেটা পালিশ নষ্ট করে দিচ্ছে। নেল পালিশ লাগানোর আগে রিমুভার দিয়ে নখ পরিষ্কার করে নেওয়া ভাল। এতে ত্বকের উপরিভাগের তেল মুছে গেলেও নখের মধ্যে আর্দ্রতা লক হয়ে যাবে। সর্বদা একটি বেস কোট দিয়ে শুরু করতে হবে এবং একটি টপ কোট দিয়ে শেষ করতে হবে। এটি নখ এবং নেল পালিশের সিলকে রক্ষা করবে।
শীতকালে গ্লাভস বা দস্তানা পরে বাইরে বেরোলেও অনেক সময় নখে হালকা দাগ ও ফাটল দেখা দিতে পারে। শীতকালে গ্লাভস ছাড়াও সোয়েটার, স্কার্ফ ইত্যাদি অনেক রকমের ভারি পোশাক পরতে হয় বলে নখের ফাটলের কথা মাথায় নাও থাকতে পারে। তবু নিয়ম করে নখে ফাইলিং করলে এই সমস্যা থাকবে না।
যেমন বলা হয় শরীর ভাল রাখতে যেমন সুষম ডায়েটের যেমন দরকার, ঠিক তেমনই নখ ভালো রাখতেও সঠিক ডায়েট লাগে। শুনে অনেকেই চমকে উঠবেন। যদিও কথাটা সত্যি। আখরোট, ছোলা, ঘন সবুজ শাক এবং অ্যাভোকাডোর মতো খাবার নখকে শক্তিশালী করে।
নখ ও হাতের যত্নের জন্য ম্যানিকিওর করা খুব দরকার। মাসে অন্তত একবার ম্যানিকিওর করলে খুব ভাল হবে। মনে রাখতে হবে ম্যানিকিওর করানোর আগে হাত সামান্য গরম জলপাই তেলে ৫ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে।
ভঙ্গুর ও বিভক্ত নখ শীতকালের এক সাধারণ সমস্যা। এর জন্য এক প্যাক জেলাটিন নিতে হবে। এক গ্লাস জলে ২ টেবিল চামচ মিশিয়ে নিয়মিত পান করতে হবে।
শক্ত কোনও জায়গায় নখ দিয়ে জোরে আঘাত বা ট্যাপ করা যাবে না।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)