প্রসঙ্গত ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল একটি পরিসংখ্যান শেয়ার করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা দেশে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬৩২৮০। গত ২ নভেম্বর দিল্লিতে এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এই বছরে এটাই প্রথম মৃত্যু রাজধানীতে।
advertisement
আরও পড়ুন - BRA -র পুরো শব্দ কী? বাংলাতেই বা ব্রাকে কী বলে উত্তর খোঁজেন ৮০ শতাংশ মানুষ, আপনি জানেন তো
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গি রোগ সারানোর জন্য কোনও রকম অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এখনও পর্যন্ত নেই। ফলে ওরাল রিহাইড্রেশন, অ্যান্টিপাইরেটিকস-এর মতো বিভিন্ন থেরাপি রয়েছে। যা জ্বর প্রশমিত করতে সাহায্য করে। তবে যে সব রোগীর দেহে গুরুতর উপসর্গ দেখা যায়, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
আর এই সমস্ত ক্ষেত্রে ডেঙ্গি রোগীদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা। প্রতিদিন ৪ লিটার জল পান করতে হবে। আরও কিছু পানীয় রয়েছে, যা ডেঙ্গি রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। দেখে নেওয়া যাক, এই পানীয়গুলির বিষয়ে।
গুলঞ্চ জ্যুস:
গুলঞ্চ হল এক ধরনের ভেষজ। আর এই ভেষজ দিয়ে বানানো জ্যুস ডেঙ্গি রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। এতে মেটাবলিজম এবং ইমিউনিটি বাড়ে। ফলে ডেঙ্গি-জ্বরের সঙ্গে শরীরকে লড়াই করার ক্ষমতা দেয় এই জ্যুস। এই উপকারী পানীয় বানানোর জন্য গুলঞ্চ গাছের দুটো ছোট ছোট ডাল নিতে হবে। এর পর প্যানে এক গ্লাস জল নিয়ে তাতে ওই গুলঞ্চ ডাল দিয়ে ফোটাতে হবে। সেই জলটাই উষ্ণ গরম অবস্থায় পান করা উচিত। তবে একটা জরুরি বিষয় মাথায় রাখা উচিত যে, এই গুলঞ্চ জ্যুস অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।
পেঁপে পাতার রস:
ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট নামতে থাকে। তা বাড়ানোর জন্য দারুন টোটকা হল পেঁপে পাতার রস। শুধু তা-ই নয়, পেঁপে পাতার জ্যুস ইমিউনিটি বাড়াতেও সাহায্য করে। এর জন্য কী করতে হবে? খানিকটা পেঁপে পাতা নিয়ে তা বেটে রস বার করে নিতে হবে। এই জ্যুস খুবই অল্প পরিমাণে দিনে দুবার করে খেতে হবে।
পেয়ারা জ্যুস:
পেয়ারার রস ভিটামিন সি-এ সমৃদ্ধ। যা ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে বাজারে চলতি প্যাকেটজাত পেয়ারার জ্যুস খাওয়া উচিত নয়। তার পরিবর্তে বরং তাজা পেয়ারা দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে জ্যুস। এমনকী জ্যুস খেতে না-চাইলেও তাজা পেয়ারা খাওয়াও শরীরের পক্ষে ভাল।
তুলসী-জল:
তুলসীর গুণাগুণ সম্পর্কে সকলেই অবগত। এমনকী ডেঙ্গি জ্বর রোধ করতেও তুলসী পাতার ভূমিকা অসামান্য। শরীরের যে কোনও সংক্রমণ দূর করতে এবং রোগী যাতে দ্রুত হয়ে ওঠেন, তাতে সাহায্য করে এই উপকারী ভেষজ। এর জন্য কয়েকটি টাটকা তুলসী পাতা আর জল নিয়ে ফোটাতে হবে। এ-বার সেই তুলসী আর জলের মিশ্রণ ছেঁকে নিয়ে পান করতে হবে। অবশ্য চাইলে এতে লেবুর রস অথবা মধুও যোগ করা যেতে পারে।
করলার জ্যুস:
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ডেঙ্গি ভাইরাসের বৃদ্ধি ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে করলার জ্যুস। এটা বানানোর জন্য প্রথমে তা ধুয়ে একেবারে কুচিয়ে নিতে হবে। এ-বার এর মধ্যে জল যোগ করে তা পিষে নিতে হবে। পুরোপুরি বাটা হয়ে গেলে এর রস ছেঁকে গ্লাসে নিয়ে নিতে হবে। অতিরিক্ত তেতো স্বাদ কাটানোর জন্য আরও জল যোগ করা যেতে পারে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)