চিকিৎসকদের মতে, মূলত খাদ্য ও জল থেকেই এই রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। বিলিরুবিন শরীরের স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত করে। জন্ডিস আদতে কোনও রোগ নয়, এটি রোগের উপসর্গ। অসুখটি মূলত হেপাটাইটিস। এর ভাইরাস সরাসরি লিভারকে আক্রমণ করে। প্রাথমিক অবস্থায় অবহেলা করলে জন্ডিস মারাত্মক আকার নিতে পারে।
সারা বিশ্বে প্রতিবছর জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। লিভারের যে সমস্ত রোগ দেখা যায়, সেগুলির মধ্যে খুব চেনা রোগ জন্ডিস। লিভারের সমস্যা কোনও রোগ নয়। রোগের একটি লক্ষণ মাত্র। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে লিভারের সমস্যা বেশি মাত্রায় দেখা যায়। অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া, মদ্যপান , জাঙ্ক ফুডের প্রতি অতিরিক্ত ঝোঁক, তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার খাওয়া জন্ডিসের অন্যতম কারণ। এছাড়াও অনিদ্রা, আতঙ্ক, মাত্রারিক্ত স্ট্রেস, উদ্বেগের কারণেও লিভারের হেপাটাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
advertisement
চিকিৎসক অসীম জানান, ” জন্ডিস হলে রক্ত ও লিভারের পেশির টিস্যুর উপর প্রভাব পড়ে। ফলে রক্তের বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। চোখ ও ত্বক হলুদ হতে থাকে। তবে ঘরোয়া টোটকায় এই মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব খুব সহজেই। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে বারবার জল খেতে হবে। এছাড়া উচ্চ ফাইবার যুক্ত আখের রস ও টম্যাটোর রস খাওয়াও উপকারী। সূর্যের আলোয় কিছু ক্ষণ থাকলেও জন্ডিসের প্রকোপ কমে।”
চিকিৎসক আরোও জানান, “দুপুরে চড়া রোদে নয়, সকালের হালকা মিঠে রোদ উপকারী। প্রাপ্তবয়স্করা অবশ্যই সানস্ত্রিন ক্রিম মেখে রোদে যাবেন। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। জন্ডিসকে অবহেলা করবেন না। রোগ শনাক্ত হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা উচিত। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে বিপদ!”
Sarthak Pandit