আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, যাঁরা ধূমপান করেন না তাঁদের তুলনায় ধূমপায়ীদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা দুই থেকে চার গুণ বেশি থাকে। সিগারেটের ধোঁয়ায় হাজার হাজার রাসায়নিক রয়েছে যা রক্তনালীগুলিকে ক্ষতি করে কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা বাড়াতে পারে। ফলে রক্ত থেকে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল অপসারণ করা কঠিন হয়ে যায় এবং ধমনীতে কোলেস্টেরল জমতে থাকে (Health Tips)।
advertisement
আরও পড়ুন-ব্যাঙ্কের এই চাকরির জন্য দিতে হবে না ইন্টারভিউ! ভুল করেও সুযোগ হাতছাড়া করবেন না
কোলেস্টেরল একটি মোমযুক্ত, চর্বি জাতীয় পদার্থ যা লিভার দ্বারা প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন হয়। কোলেস্টেরল কোষ সৃষ্টি, হরমোন উৎপাদন এবং খাদ্য হজমের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। একটি উচ্চ চর্বিযুক্ত খাদ্য শরীরে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
দুই ধরনের কোলেস্টেরল আছে: লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (LDL) এবং হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (HDL)।
এলডিএল, যাকে খারাপ কোলেস্টেরলও বলা হয়, এটি ধমনীর অভ্যন্তরে প্লাক নামের একটি চর্বির আস্তরণ তৈরি করে। যর ফলে ধমনীকে সংকুচিত হতে পারে না এবং এর জন্য ঝুঁকি বাড়তে পারে ৷
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ) অনুসারে, যে কোনও বয়সের মানুষের জন্য এলডিএল কোলেস্টেরলের একটি স্বাস্থ্যকর মাত্রা হল প্রতি ডেসিলিটারে ১০০ মিলিগ্রামেরও কম।
আরও পড়ুন-রাগ সামলানো দায়, সতর্ক না হলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসারও!
অন্য দিকে, এইচডিএল, স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল নামে পরিচিত, এটি এলডিএলকে অপসারণ করতে পারে এবং লিভারের দ্বারা শরীরের বাইরে বের করে দেয়। এইচডিএলের একটি স্বাস্থ্যকর স্তর পুরুষদের জন্য ৪০ mg/dL এবং মহিলাদের জন্য ৫০ mg/dL-এর উপরে। আদর্শভাবে, মোট সম্মিলিত কোলেস্টেরল ২০০ mg/dL-এর নিচে হওয়া উচিত। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা জানার একমাত্র উপায় হল একটি লিপিড প্রোফাইল রক্ত পরীক্ষা।
ধূমপান এবং কোলেস্টেরলের মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কি?
এটি ফুসফুসের ক্ষতি করে ঝুঁকি বাড়ায়
হাঁপানি ডেকে আনে
ফুসফুসের রোগ তৈরি করে
ফুসফুসের ক্যানসার ঘটায়
ধূমপান কি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়?
ধূমপান হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। কেন না, ধূমপান LDL কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে এবং HDL কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। ধমনীতে প্লাক থাকলে, হৃদপিন্ডের রক্ত পাম্প করতে কষ্ট হয়। ফলে এটি শরীরের সমস্ত অংশে রক্তপ্রবাহ হ্রাস করে দেয়। এই পরিস্থিতির ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজ বা করোনারি আর্টারি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।