তাই চিনির বিকল্প হিসেবে গুড়কে বেছে নেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এখানেই শেষ নয়, চিনির তুলনায় গুড়ের মধ্যে ভিটামিন এবং মিনারেলের পরিমাণ বেশি। তবে ভুললে চলবে না যে, অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল নয়। তাই গুড় অতিরিক্ত খেলেও বিপদ বাড়বে বই কমবে না। যাইহোক, গুড়ের কিছু উপকারিতার প্রসঙ্গে আজ আলোচনা করে নেওয়া যাক।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার প্যারাসিটামল কিনলে ফার্মেসিতে দিতে হবে নাম-ফোন নম্বর, না জানলে বিপদে পড়বেন!
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে:
অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করার জন্য গুড় অব্যর্থ দাওয়াই। মাসিক চক্র বা মেনস্ট্রুয়াল সমস্যাতেও দারুণ কার্যকর গুড়। কারণ পেট ব্যথা কিংবা ক্র্যাম্প কমাতে সহায়ক।
রক্ত পরিষ্কার করতে:
মানবদেহের রক্ত পরিষ্কার করতে দারুণ কার্যকর গুড়। বলা যায়, এটাই গুড়ের অন্যতম বড় গুণ। প্রতিদিন নিয়ম মেনে পরিমাণ মতো গুড় খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে। আর দেহের অভ্যন্তরীণ অংশ পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে গুড়। ফলে শরীর থাকে সুস্থ।
আরও পড়ুন: রোজ যেমন খুশি, যত খুশি হাঁটলে উল্টে শরীরের ক্ষতি! বয়স অনুযায়ী কতটা হাঁটা জরুরি জানুন
হজমে সহায়ক এনজাইম সংশ্লেষণ বৃদ্ধি:
গুড় খুব সহজেই ভেঙে অ্যাসিটিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। এর ফলে হজমে সহায়ক উৎসেচকের নিঃসরণ বাড়ে। এই কারণে গুড় খেলে হজমশক্তির উন্নতি হয়। আর পরিপাক তন্ত্রও সুস্থ থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি:
যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, তাঁদের সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে গুড়। এটা অনেকটা ডাই-ইউরেটিক হিসেবে কাজ করে। দুপুরে খাবার খাওয়ার পরে গুড়ের একটা ছোট্ট টুকরো খাওয়া উচিত। এতে হজমশক্তি তো বাড়েই, সেই সঙ্গে শরীরও থাকে সুস্থ।
শক্তির উৎস
গুড় হল জটিল কার্বোহাইড্রেট। দেহে এনার্জি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন পরিমাণ মতো গুড় খাওয়া উচিত। এর মধ্যে উচ্চ ক্যালোরি থাকায় এটি শক্তি বা এনার্জি প্রদান করতে সক্ষম।