যখনই ভেষজ উদ্ভিদের কথা উঠে, প্রথমেই যে নামটি আসে তা হল জিম্বু। স্থানীয় বাসিন্দারা খাবারের স্বাদ বাড়াতে এটি মশলা হিসেবে ব্যবহার করেন। প্রকৃতপক্ষে, জিম্বু হল এক ধরনের পেঁয়াজ জাতীয় উদ্ভিদ। তবে এগুলি শুধুমাত্র হিমালয়ের উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে জন্মায়। এই গাছের পাতা এবং গোলাপি রঙের ফুল থাকে। সবই উপকারি।
নানা ধরনের রোগের ক্ষেত্রে জিম্বু খুবই উপকারি। পিথোরাগড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিনের খাদ্যে জিম্বু ব্যবহার করলে ঠান্ডা লাগা, জ্বর, পেটের অসুখ, রজঃচক্রের সমস্যা কমানোও সম্ভব। এমনকী হৃদরোগ, ডায়াবেটিসেও এটি কার্যকর। ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও জিম্বুর কার্যকারিতা রয়েছে। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় জিম্বু রাখলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলেও দাবি।
advertisement
সব থেকে বড় কথা হল, এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই ভেষজটি মূলত তরকারি, স্যুপ, আচার ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। আমিষ রান্নায় মশলা হিসেবে দিলে স্বাদ বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপাল এবং উত্তরাখণ্ডে এই ভেষজটি ‘অলরাউন্ডার’।
আয়ুর্বেদে ব্যবহার—
পিথোরাগড় জেলার আয়ুর্বেদিক আধিকারিক জ্যোৎস্না সানওয়াল বলেছেন, জিম্বু চাষ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত সহজে পাওয়া যায় এই ভেষজ। ঔষধি গুণের কারণে পার্শ্ববর্তী নেপাল ও তিব্বতেও এর চাষ হয়। জিম্বু গাছ শুকিয়ে বছরের পর বছর রেখে দেওয়া যায়। তারপর তাকে মশলা হিসেবে ব্যবহার করা যায়।