প্রস্টেট ক্যানসার রোগ দ্রুত নির্ণয় এবং এর প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনা করবেন বেঙ্গালুরুর রিচমন্ড রোডের ফর্টিস গ্রুপ অফ হসপিটালসের মেডিকেল অঙ্কোলজি এবং হেমাটো-অঙ্কোলজি বিভাগের ডিরেক্টর ডা. নীতি রায়জাদা।
প্রস্টেট ক্যানসারের স্ক্রিনিং:
বর্তমান নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, এই স্ক্রিনিংয়ের ভাল-মন্দ দিক নিয়ে সঠিক কাউন্সেলিং করা জরুরি। তবে মুশকিল হল স্ক্রিনিং শুরু কিংবা শেষ হওয়া নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। এমনকী কত সময়ের ব্যবধানে স্ক্রিনিং কিংবা বায়োপ্সি করাতে হবে, সেটাও বোঝা যায় না। তবুও সমস্যা প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে নিয়মিত স্ক্রিনিং আবশ্যক।
advertisement
পারিবারিক রোগের ইতিহাস থেকে শুরু করে শারীরিক পরীক্ষা পর্যন্ত কিছু মূল্যায়ন:
প্রাথমিক ভাবে জোর দেওয়া হয় পারিবারিক রোগের ইতিহাসের উপর। ফার্স্ট-ডিগ্রি আত্মীয় অথবা সেকেন্ড-ডিগ্রি আত্মীয়দের মধ্যে এই রোগ আছে কি না, সেটার উপর নজর দেওয়া হয়।
রোগীর অন্যান্য ধরনের ক্যানসারের ব্যক্তিগত ইতিহাস অথবা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জার্মলাইন মিউটেশনের বিষয়টাও দেখা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল বিআরসিএ অথবা এইচওএক্সবি ১৩ মিউটেশন।
৫-আলফা১ রিডাকটেজ- ফিনাস্টেরাইড অথবা ড্যুটাস্টেরাইডের মতো ওষুধ প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পিএসএ হ্রাস করতে পারে।
তবে ৭৫ বছরের উর্ধ্বে সাধারণত আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনও প্রয়োজন হয় না। উচ্চ ঝুঁকির আওতায় যাঁরা আছেন, তাঁদের পিএসএ স্ক্রিনিং এবং ডিআরই ৪০ বছর বয়সেই শুরু করে দেওয়া উচিত। আর সেটা প্রতি বছরেই করাতে হবে।
গড় ঝুঁকির আওতায় থাকা রোগীদের ৪৫-৭৫ বছর বয়সের মধ্যে স্ক্রিনিং করা উচিত।
আরও পড়ুন-২ দিনেই কালো হয়ে যাচ্ছে কলা, এমনটা আর হবে না! টাটকা রাখতে ট্রাই করুন এই সিক্রেট টিপস
তাহলে বায়োপ্সি কখন করানো উচিত?
সিরাম পিএসএ যখন প্রতি মিলিলিটারে ৩ এনজি হয় এবং ডিআরই যখন সন্দেহজনক হয়, তখন বায়োপ্সি করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। সাধারণত এক্ষেত্রে একটি ট্রান্স-রেক্টাল আল্ট্রাসাউন্ড গাইডেড বায়োপ্সি করা হয়। এর রিপোর্টের ফলাফলে ক্যানসার আসতে পারে, আবার ইন্ট্রাডাকটাল কার্সিনোমাও বেরোতে পারে। এই ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই চিকিৎসার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।