আরও পড়ুনঃ কার্তুজ উদ্ধারে যোগ বড় চক্রের! কোন নাশকতার পরিকল্পনা ছিল? জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
তেলঙ্গানার সঙ্গারেড্ডি জেলাতেই যেমন চিকিৎসার নামে রোগীদের জীবন নিয়ে খেলা করা হচ্ছে। এখানে ডিগ্রিবিহীন ভুয়ো ডাক্তারদের দীর্ঘ তালিকা সম্পর্কে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, তেলঙ্গানা স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিল জেলায় রোগীদের চিকিৎসার জন্য অনেক ভুয়ো ডাক্তারের সন্ধান পেয়েছে, যাঁদের লাইসেন্স ছিল না। তাঁরা কেবল একজন ডাক্তার হিসেবে রোগীদের চিকিৎসা করছিলেন। মেডিকেল কাউন্সিল কর্তৃক ২৫টি স্থানে অভিযান চালানোর সময়, অনেক ভুয়ো ডাক্তারদের রোগীর চিকিৎসা করতে দেখা গিয়েছে।
advertisement
বেশিরভাগের কাছে আরএমপি ক্লিনিক –
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সহ-সভাপতি ডা. জি শ্রীনিবাসনের মতে, এই ভুয়ো ডাক্তারদের বেশিরভাগই আরএমপি হিসেবে ক্লিনিক স্থাপন করেছিলেন। রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোনও প্রশিক্ষণ পাননি। ক্লিনিকগুলি বেশিরভাগই পাঠানচেরু, আইডিএ বোল্লারাম, ইনসাপুর এবং অন্যান্য বস্তি এবং শিল্প এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে শ্রমিক ও দরিদ্র মানুষদের চিকিৎসা করা হত। তাছাড়া, শ্রমিকরা এই ভুয়ো ডাক্তারদের কাছ থেকে সস্তায় চিকিৎসাও পেত।
এমবিবিএস ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন –
অভিযানের সময় আরও জানা যায় যে, কিছু ভুয়ো ডাক্তার যোগ্য এমবিবিএস ডাক্তারের নামে প্রেসক্রিপশন স্লিপে ওষুধ লিখে দিচ্ছিলেন। এছাড়াও, আয়ুর্বেদ মেডিসিন এবং সার্জারিতে স্নাতক ডিগ্রিধারী ডাক্তাররা নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে অ্যালোপ্যাথি অনুশীলন করছিলেন। তাঁরা রোগীদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও দিচ্ছিলেন।
ক্লিনিক এবং ল্যাবগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে –
মেডিকেল কাউন্সিলের নির্দেশিকা লঙ্ঘনের জন্য জেলা জুড়ে অনেক ক্লিনিক, নার্সিং হোম এবং ল্যাব সিল করে দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও, চক্র পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। ভুয়ো ডাক্তারদের চিহ্নিত করার পর তাঁরা তাঁদের ঘাঁটি অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করেছেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে, তাঁদের ৫ বছরের জেল এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হতে পারে।