ভাল হাইজিন বজায় রাখা:
বর্ষার মরশুমে শিশুদের ক্ষেত্রে সঠিক হাইজিন বজায় রাখা জরুরি। এতে ত্বকের সংক্রমণ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যাবে। তাই সন্তানকে সঠিক ভাবে হাত ধোওয়ার পরামর্শ দিতে হবে। বিশেষ করে খাওয়ার আগে এবং খেলাধুলো করে ঘরে ফেরার পরে। প্রতিদিন স্নান করাও আবশ্যক। মৃদু, পিএইচ-ব্যালেন্সড সাবান অখবা ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: এই সব লক্ষণ দেখা গেলেই সাবধান! পুরুষদের কয়েকটি বিপজ্জনক উপসর্গের বিষয়ে কথা বলছেন বিশেষজ্ঞ!
ত্বক শুকনো রাখা:
ত্বক ভিজে কিংবা স্যাঁতস্যাঁতে থাকলে ছত্রাকজনিত সংক্রমণ কিংবা ব়্যাশ হতে পারে। তাই শিশুদের ত্বক ভাল করে মোছা উচিত। দেহের যেসব অংশে ঘাম হয়, সেই সব অংশও ভাল করে মুছতে হবে। তার জন্য নরম তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত।
আরও পড়ুন: সন্তানের মধ্যে এই উপসর্গগুলি দেখা যাচ্ছে? এখনই সতর্ক হন! বিপদ বাড়াতে পারে ইউটিআই; মত বিশেষজ্ঞের!
হাওয়া চলাচল করে এমন পোশাক:
বর্ষার মরশুমে এমন পোশাক পরতে হবে, যার মধ্যে দিয়ে ভাল হাওয়া চলাচল করতে পারে। এর জন্য বেছে নিতে হবে সুতির নরম পোশাক। সিন্থেটিক কাপড় এড়িয়ে চলাই ভাল। এতে ঘাম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, ত্বকেও সমস্যা হতে পারে। আর বেশি আঁটোসাঁটো পোশাক এই সময় ব্যবহার না করাই ভাল।
সানস্ক্রিন ব্যবহার:
মেঘলা আবহাওয়ায় অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না। তাতে কিন্তু ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মিতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই মেঘলা দিনেও দেহের উন্মুক্ত স্থানে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা আবশ্যক। বাচ্চারা বাইরে খেলতে গেলে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন মাখাতে হবে।
পায়ের যত্ন:
বর্ষার মরশুমে পায়ের সঠিক যত্ন নেওয়াও আবশ্যক। এই সময় তাই ওয়াটারপ্রুফ জুতো কিংবা চটি পরা উচিত। যাতে নোংরা জল পায়ে না লাগে। ছত্রাকজনিত সংক্রমণ রুখতে তাই বাইরে থেকে ফিরে উষ্ণ গরম জল এবং মৃদু সাবান দিয়ে পা পরিষ্কার করা উচিত। এর পর ফুট ক্রিম লাগিয়ে নিলে পা নরম থাকবে।
ব্যক্তিগত জিনিস অন্যের সঙ্গে ভাগ না করে নেওয়া:
ত্বক সংক্রমণ রুখতে নিজের ব্যবহার করা সামগ্রী অন্য কারওর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া উচিত নয়। এর মধ্যে অন্যতম হল তোয়ালে, চিরুনি, জামাকাপড় ইত্যাদি।
হাইড্রেটেড থাকা:
ত্বক সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত জল পান আবশ্যক। তাই সন্তানকে এই সময় বেশি করে জল পান করাতে হবে। এতে দেহের বিষাক্ত পদার্থ বাইরে বেরিয়ে যাবে। ত্বকও থাকবে আর্দ্র। শুষ্কতার সমস্যাও আর হবে না।
ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:
বারবার ত্বকে সংক্রমণ হলে ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া আবশ্যক। তাছাড়া একজিমার মতো ত্বকের রোগ হলে ওষুধ না খেলে তা সারে না। ফলে চিকিৎসার দিকটাও জরুরি।