রামগড়, ধারি, ভীমতাল, ওখালকান্দা, আলমোড়া-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে পিচ, প্লাম, এপ্রিকটের মতো ফল হলদোয়ানি বাজারে আসে। এই সময় পাহাড়ি ফলে ভরে থাকে বাজার। এগুলি বেশির ভাগই রামগড়-সহ বিভিন্ন পার্বত্য জেলা থেকে হলদোয়ানিতে আসে। চাহিদাও থাকে বাজারে।
রামগড়, নাথুভাখান, গরমপানি প্রভৃতি পাহাড়ি এলাকায় পিচ, প্লাম এবং এপ্রিকট ভাল উৎপন্ন হয়। শুধু অধিক উৎপাদনই নয়, এই সব অঞ্চলের মরশুমি ফলের স্বাদও বেশ আলাদা। তাই চাহিদাও বেশি। পাহাড়ি পিচের স্বাদ সমতলের তুলনায় অনেক বেশি বলেই মনে করেন সকলে, এগুলির রসও বেশি।
advertisement
বর্তমানে পিচে দাম প্রতি কেজি ১০০ টাকা, আর এপ্রিকটের দামও প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে প্লামও। এই ফলগুলি গ্রীষ্মকালে খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী।
স্থানীয় ফল বিক্রেতা দীনেশ সিং বলেন, ‘পাহাড়ে ফল পেকেছে। এখন বাজারে আসতে শুরু করেছে। পিচ, এপ্রিকট, প্লামের জন্য মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন।’ তাই বাজার যেমন সেজে উঠেছে নানা ফলের পসরায়। তেমনই ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছেন।
গ্রীষ্মে পিচের উপকারিতা—
বিশেষজ্ঞরা বলেন, গরমকালে পিচ খাওয়া খুবই ভাল। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি২, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, সোডিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইবার ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। সেই সঙ্গে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-অ্যালার্জিক গুণও রয়েছে এর মধ্যে। ফলে গ্রীষ্মকালে এই ফলের উপকারিতা প্রচুর।
নৈনিতাল জেলার রামগড়, ধারি, ভীমতাল এবং ওখালকান্দা ব্লকে এই ফল উৎপাদন সর্বাধিক। আপেল, পিচ, এপ্রিকট, প্লাম ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয় এখানে। শুধুমাত্র নৈনিতাল জেলাতেই রাজ্যে উৎপাদিত আপেল এবং পিচের ৬০ শতাংশ উৎপাদিত হয়। জেলায় ৮ হাজারের বেশি কৃষক ফল উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত।