রাটজার্সের গবেষকরা আমেরিকান জার্নাল অব এপিডেমিওলজিতে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে এই দাবি করেছেন। ১ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৯৩৩,০০০ আমেরিকান ছেলে-মেয়ের মধ্যে তাঁরা এই গবেষণা চালিয়েছিলেন। এদের মধ্যে কিছু ছেলে-মেয়ের অটো ইমিউন রোগ যেমন সোরিয়াসিস, জুভেনাইল আর্থ্রাইটিস বা পেট জ্বালার মতো সমস্যা ছিল, আবার কারও কারও তা ছিল না। যাদের কোনও অটো ইমিউন রোগ ছিল না, তাদের হাঁপানি সারাতে ওরাল স্টেরয়েড দেওয়া হয়েছিল।
advertisement
রাটজার্স রবার্ট উড জনসন মেডিকেল স্কুলের মহামারী ও শিশুরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, পাশাপাশি এই গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানী ড্যানিয়েল হর্টন বলেছেন, ওরাল স্টেরয়েড নেওয়ার ফলে মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ ও রক্ত জমাট বাঁধার হার কত হতে পারে সেটা প্রাপ্তবয়স্কদের একটি বৃহৎ গোষ্ঠীর মধ্যে গবেষণা করে দেখা গেছে। তবে শিশুদের মধ্যে এই জাতীয় গবেষণার ফলাফল আলাদা হতে পারে বলে মনে হয়।
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে বড়দের তুলনায় শিশুরা যে ভাবে স্টেরয়েড গ্রহণ করে তার মধ্যে একটি পার্থক্য রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন যে বড়দের তুলনায় শিশুদের কার্ডিওভাসকুলার এবং বিপাকীয় অবস্থার সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এই উপাদানগুলি বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাবে যে কী ভাবে ওরাল স্টেরয়েড শিশুদের মধ্যে পরবর্তীকালে জটিল রোগের বিকাশ ঘটাতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে যাঁরা খুব বেশি মাত্রায় স্টেরয়েড নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে এই জাতীয় রোগ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। তুলনায় যাঁরা স্টেরয়েড খুব কম নিয়েছেন বা মাঝে মধ্যে নিয়েছেন, তাঁদের রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম।বেশ কয়েকটি জটিলতা নিয়ে গবেষণা করা হলেও গবেষকরা দেখলেন যে স্টেরয়েড চিকিৎসা করা শিশুদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ সব চেয়ে বেশি ছিল। শুধু তাই নয়, যাদের আগে থেকেই অটোইমিউন রোগগুলি ছিল, তাদের স্টেরয়েড না নিয়েও উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি ছিল।
তবে হর্টন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন যে এই ফলাফলগুলি শুধুই দীর্ঘমেয়াদী স্টেরয়েডাল চিকিৎসার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাওয়া গেছে। কিছু ছেলে-মেয়েকে দীর্ঘদিন স্টেরয়েড দিয়ে দেখা হয়েছে, আবার কেউ কেউ একদমই কোনও স্টেরয়েড গ্রহণ করেনি। অনেক বেশি সংখ্যক ছেলে-মেয়ে, যারা হাঁপানির জন্য মাঝে মধ্যে বা এককালীন পর্যায়ে স্টেরয়েড নিয়েছে তাদের উচ্চ রক্তচাপ, রক্ত জমাট বাঁধা বা মধুমেহ হওয়ার ঝুঁকি প্রায় নেই বললেই চলে।