ব্রিটেনের কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের গবেষকরা জানাচ্ছেন, আসন্ন মৃত্যু সবচেয়ে আগে টের পায় আমাদের নাক । তবে সে গন্ধকে আমাদের চেনা কোনও গন্ধের ছকে ফেলতে পারেননি তাঁরা । আমাদের শরীরে পুট্রেসিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক উত্পন্ন হওয়ার কারণেই নাকে আসে সেই গন্ধ । যখন আমাদের শরীর ক্ষয়ের দিয়ে এগোতে থাকে তখনই উত্পন্ন হয় পুট্রেসিন । ৪২ কোটি বছর ধরে জীবজগতের ন্যাক্রোফোবিক বিহেভিয়ার বিবর্তনের কারণেই এই পুট্রেসিন উত্পন্ন হয় শরীরে । যেই গন্ধ আমাদের নাকে এলে মস্তিষ্কে বিপদের সিগন্যাল পৌঁছয় । যখন আমাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি বলে মোকাবিলা করতে না পারলে পালিয়ে যাও ।
advertisement
আরও পড়ুন: দিনে ১১ ঘণ্টা বসে কাজ করেন? উত্তর হ্যাঁ হলেই বিপদ !
ঠিক কীভাবে এই রাসায়নিকের গন্ধে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাই তা বুঝতে পুট্রেসিন ও অ্যামোনিয়া নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন বৈজ্ঞানিকরা । পুট্রেসিনের গন্ধে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এক অদ্ভুত অস্থিনিরতা লক্ষ্য করা যায় । যা তারা কখনও বিপদ, কখনও পালাতে চাওয়া, কখনও বা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার অনুভূতি হিসেবে ব্যক্ত করেছেন । অ্যামোনিয়ার গন্ধে যা হয় না ।
বিজ্ঞানীদের মতে আমাদের নিজেদের শরীর জরায় আক্রান্ত হলে বা আশপাশে মৃত্যুপথযাত্রী কোনও মানুষ থাকলে আমাদের নাকে এই গন্ধ এসে পৌঁছয় । এই গন্ধকে তাঁরা স্মেল অফ ডেথ বলে চিহ্নিত করেছেন ।