প্রেগনেন্সি চলাকালীন অস্বস্তিকর কিছু উপসর্গ:
প্রথম ট্রাইমেস্টারে হরমোনজনিত কারণে মুড স্যুইং হয়ে থাকে। হরমোনের ওঠা-নামার কারণে উত্তেজনা, বিরক্তি, কান্নার ভাব, ভয় এবং অন্যান্য আবেগ-অনুভূতি ভিড় করে আসে।
আরও পড়ুন: নিমপাতা কেন তেতো হয়? আপনি কি জানেন, ৯৯ শতাংশ মানুষই কিন্তু ডাহা ফেল!
এইচসিজি হল এক ধরনের হরমোন, যার জেরে মর্নিং সিকনেস দেখা দেয়। প্রথম ট্রাইমেস্টারে তা প্রচণ্ড বেড়ে যেতে পারে। তবে ওই ট্রাইমেস্টারের শেষের দিকে তার মাত্রা কমে যেতে থাকে। ফলে মর্নিং সিকনেসও এর পর থেকে কমে আসে।
advertisement
আরও পড়ুন: রান্নাঘরের ঝামেলা মিটিয়ে ফেলুন নিমেষে! রইল সহজ উপায়
রিল্যাক্সিন হল আর একটি হরমোন। যা পেলভিসের লিগামেন্ট এবং জয়েন্টকে শিথিল করে দেয়। যাতে প্রসবের সময় কোনও অসুবিধা না হয়। পেলভিস শিথিল হয়ে যে ব্যথা হয়, তাকে পেলভিক গার্ডল পেন বলা হয়। বহু মহিলাই এই যন্ত্রণা সহ্য করতে পারেন না। ফলে হাঁটাচলা করা তাঁদের পক্ষে মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।
কিছু কিছু ধাপে ১০ জন মহিলার মধ্যে ৮ জন মহিলাই পা ফোলার সমস্যায় ভোগেন। আসলে তলপেটের প্রাচীরে জল জমে যায়। কারণ এই সময় দেহের মধ্যে জলের পরিমাণ ৬-৮ লিটার পর্যন্ত বাড়ে। দেহে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি কিন্তু হবু মা এবং গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির জন্য উপযোগী।
প্রেগনেন্সি চলাকালীন হার্ট বার্ন হতে পারে। পেট থেকে খাদ্যনালী এবং গলায় অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয়। যার ফলে জ্বালা-পোড়া হতে থাকে। বিশেষ করে শুয়ে থাকলে এটা বেশি হয়।
আর প্রেগনেন্সিতে আর একটা সমস্যা হল কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য। আয়রন সাপ্লিমেন্ট অথবা অপর্যাপ্ত ফ্লুয়িড এবং ফাইবারের কারণেই এই সমস্যা হতে পারে। আর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ফিশারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উপরোক্ত এই সব অস্বস্তিকর উপসর্গ কিন্তু হবু মা বা তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি করে না। বরং অস্বস্তির উদ্রেক করে। তবে কিছু নিরাপদ ওষুধ এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।