এর ফলে ওভারি বা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বেরোনোর পথে বাধা আসে। যার ফলে কনসিভ করতে পারেন না তাঁরা। তবে কিছু কৌশল রয়েছে। যা সন্তানধারণের সম্ভাবনাকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হল জীবনযাত্রায় পরিবর্তন। পিসিওএস-এ আক্রান্ত যে সব মহিলা সন্তানধারণ করতে চাইছেন, তাঁদের জন্য কিছু টিপস ভাগ করে নিলেন বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক সিটির কাবেরী হাসপাতালের ওবেস্টেট্রিকস এবং গাইনিকোলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. দিব্যা আর।
advertisement
আরও পড়ুন: কলা কিন্তু সবার খাওয়া উচিত নয়! সর্বনাশ হতে পারে, কারণ জানলে মাথা ঘুরে যাবে
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
যাঁরা কনসিভ করতে চেষ্টা করছেন, তাঁদের সবার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকই উপসর্গ বুঝে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারবেন। সেই মতোই তিনি পরবর্তী ধাপের পরিকল্পনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সঠিক ওজন বজায় রাখা:
পিসিওএস-এ আক্রান্ত মহিলাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। আসলে ওজন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টা ইতিবাচক ভাবে হরমোনজনিত ভারসাম্যের উপর প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, খুব স্বল্প পরিমাণে ওজন কমালে মাসিক চক্র ঠিকঠাক ভাবে হয়। আর বাড়ে ওভিউলেশনের সম্ভাবনাও। আবার ওজন অতিরিক্ত কম থাকলেও কিন্তু তা ওভিউলেশনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সঠিক ওজন বজায় রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন: যখন-তখন ওজন মাপছেন? ভুল করছেন, জানুন দিনের কোন সময় সঠিক ওজন বলে
স্বাস্থ্যকর ডায়েট:
পিসিওএস এবং ফার্টিলিটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পুষ্টিকর খাবার। ফল, সবজি, লিন প্রোটিন এবং হোল গ্রেন খাওয়ার উপর জোর দিতে হবে। তবে প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি স্ন্যাকস এবং পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার প্রদাহ কমায় এবং প্রজনন স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়ক।
নিয়মিত এক্সারসাইজ:
নিয়মিত এক্সারসাইজ স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুন। এটা পিসিওএস থাকা মহিলাদের ফার্টিলিটিতে সাহায্য করে। সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণ, ইনসুলিন রেজিস্টেন্স এবং হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে এক্সারসাইজ। এর জন্য ৩০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার এক্সারসাইজ করা উচিত। তবে এসব শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:
মানসিক চাপ পিসিওএস-এর জন্য ভাল নয়। এমনকী তা বন্ধ্যাত্বের জন্যও অনেকাংশে দায়ী। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য মেডিটেশন, যোগাসন করা উচিত। নিজের যত্ন নিতে হবে।
মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল ট্র্যাক করা:
মাসিক চক্রের উপর নজর রাখতে হবে। মাসিক চক্রের মেয়াদ এবং তার পরিবর্তনের উপর লক্ষ্য রাখা আবশ্যক। আর আজকাল স্মার্টফোনে বিভিন্ন অ্যাপ থাকে। সেই অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই তা ট্র্যাক করা সম্ভব।
ফার্টিলিটির চিকিৎসা:
পিসিওএস-এর সমস্যায় আক্রান্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় ফার্টিলিটির চিকিৎসা জরুরি হয়ে পড়ে। চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম হল ওষুধ। এছাড়া ওভিউলেশন বাড়ানোর জন্য আইভিএফ-এর মতো উন্নত প্রযুক্তিগত কৌশল অবলম্বন করা হয়।