TRENDING:

Obesity in Pregnancy: ভয়ানক বিপদ ডেকে আনতে পারে! গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বাড়ছে না তো? বলছেন বিশেষজ্ঞ

Last Updated:

Obesity in Pregnancy: জেনে নেওয়া যাক অ্যাস্টর সিএমআই হাসপাতাল, বেঙ্গালুরুর অবস্টেট্রিক অ্যান্ড গায়নোকলজি বিভাগের লিড কনসালট্যান্ট চিকিৎসক এন স্বপ্না লুল্লার কাছ থেকে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বেঙ্গালুরু: অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলার যত্নে দীর্ঘদিন ধরেই খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দেওয়া হয়। বলা হয়, গর্ভে থাকা সন্তানের কথা মাথায় রেখে দু’জনের খাবার একা মা-কেই খেতে হবে। আসলে এর পিছনে থাকে পুষ্টির ভাবনা। কিন্তু আদতে যে তা ভাল ফল দেবে এমনটা নাও হতে পারে। বরং গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে প্রসূতির ওজন বেড়ে গিয়ে ওবেসিটির সমস্যা তৈরি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন
advertisement

সেক্ষেত্রে কী কী সমস্যা হতে পারে, সমাধানই বা কোথায়, জেনে নেওয়া যাক অ্যাস্টর সিএমআই হাসপাতাল, বেঙ্গালুরুর অবস্টেট্রিক অ্যান্ড গায়নোকলজি বিভাগের লিড কনসালট্যান্ট চিকিৎসক এন স্বপ্না লুল্লার কাছ থেকে—

ওবেসিটি কী?

শরীরে মেদ বা চর্বির পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে গিয়ে জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে, একেই ওবেসিটি বলে। ব্যক্তির বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) দিয়ে একে চিহ্নিত করা যায়। সাধারণত, বিএমআই ২৫ থেকে ২৯.৮ থাকলে তাঁকে ওভার ওয়েট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিএমআই ৩০ এর উপর থাকলে ওবিস হিসেবে দেখা হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: গর্ভধারণের সময়ে ওবেসিটি ডেকে আনে বিপদ! এই নিয়ম মেনে চলুন, শুনুন বিশেষজ্ঞের কথা

বিএমআই ৩০-৩৪.৯ হলে ক্যাটেগরি ১ ওবেসিটি

বিএমআই ৩৫-৩৯.৯ হলে ক্যাটেগরি ২ ওবেসিটি

এবং বিএমআই ৪০ বা তার বেশি হলে ক্যাটেগরি ৩ ওবেসিটি ধরা হয়।

গর্ভাবস্থায় এর কী প্রভাব পড়ে?

advertisement

গর্ভাবস্থায় নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে ওবেসিটির প্রভাবে।

১. গর্ভকালীন উচ্চরক্তচাপ: গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।

অ্যাস্টর সিএমআই হাসপাতাল, বেঙ্গালুরুর অবস্টেট্রিক অ্যান্ড গায়নোকলজি বিভাগের লিড কনসালট্যান্ট চিকিৎসক এন স্বপ্না লুল্লা

advertisement

২. প্রি-এক্লাম্পশিয়া: গর্ভাবস্থার দ্বিতীয়ার্ধে বা সন্তান জন্মে দেওয়ার পর এধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণেই অনেক সময় প্রসূতির লিভার ও কিডনি বিকল হতে পারে। খিঁচুনি, হৃদরোগ, স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া ভ্রূণের বৃদ্ধি বা প্লাসেন্টার সমস্যাও হতে পারে।

৩. ম্যাক্রোসোমিয়া: ভ্রূণের বৃদ্ধি স্বাভাবিকের থেকে বেশি হলে প্রসবের সময় অসুবিধা হতে পারে।

advertisement

৪. গর্ভকালীন ডায়াবিটিস: এথেকে অনেক সময়ই ভ্রূণের বৃদ্ধি বেশি হয়, ফলে সিজারিয়ান পদ্ধতি অবলম্বন করতে বাধ্য হন চিকিৎসক। এমনকী এই গর্ভকালীন ডায়াবিটিস পরবর্তীতেও প্রসূতি ও সন্তানকে বহন করতে হতে পারে।

৫. অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া: ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। এথেকে হৃদযন্ত্র, ফুসফুসের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

৬. জন্মগত ত্রুটি: সব থেকে বড় বিষয় হল প্রসূতির ওবেসিটি সন্তানের জন্মগত ত্রুটির কারণ হতে পারে। অনেক সময়ই দেখা যায় শিশু জন্মগত হৃদযন্ত্রের বা নিউরাল টিউবের সমস্যা নিয়ে জন্মেছে।

আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! সুস্থ অবস্থায় বাথরুমে ঢুকেছিলেন, আর ফিরলেন না বলি অভিনেত্রীর স্বামী!

৭. চিকিৎসা সমস্যা: অতিরিক্ত মেদের কারণে অনেক সময় চিকিৎসাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করায় জটিলতা দেখা দিতে পারে। ভ্রূণের হৃদস্পন্দন পেতে সমস্যা হতে পারে।

সতর্কতা:

১. চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত হাঁটা বা সাঁতার কাটার ব্যবস্থা করতে হবে।

২. সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

৩. চিনির পরিবর্তে প্রাকৃতিক মিষ্টি গ্রহণ করতে হবে।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Obesity in Pregnancy: ভয়ানক বিপদ ডেকে আনতে পারে! গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বাড়ছে না তো? বলছেন বিশেষজ্ঞ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল