বছরের পর বছর ধরে আয়ুর্বেদেও তেঁতুলের ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করে। তেঁতুলে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, ফোলেট, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ই, কে, বি৬, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি। তেঁতুলের পাল্পে ফাইটোকেমিক্যাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানও পাওয়া যায়। এছাড়াও তেঁতুল খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। তেঁতুলে থাকা ফাইটোকেমিক্যালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এই নিয়ম মানলে ঝটপট কমবে কোলেস্টেরল! সুস্থ থাকতে মানুন এই টিপস
এছাড়াও এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। তেঁতুলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অনেক উপকারিতা রয়েছে।এটি স্ট্রেস কমায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যাল কমাতে পারে যা কোষের ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।
তেঁতুলে বি ভিটামিন প্রধানত বি৬, থায়ামিন বা বি১ এবং ফোলেট বা ভিটামিন বি৯ সমৃদ্ধ। এই ভিটামিন স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তেঁতুলে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা লিভারকে র্যাডিক্যাল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। গবেষণা দেখায় যে তেঁতুলের নির্যাস গ্রহণ লিভারের উপর একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন: সাবধান! পিরিয়ডের সময় এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখুন, নইলে বিপদ হতে পারে
ফ্যাটি লিভার ও ডায়াবেটিসেও তেঁতুল অত্যন্ত উপকার করে। এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণা অনুসারে, তেঁতুলের বীজের নির্যাসের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রভাব রয়েছে, যা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছড়াও তেঁতুল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।