TRENDING:

HIV Aids: এইচআইভি পজিটিভ মানেই কি জীবন শেষ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, জেনে নিন

Last Updated:

HIV Aids: রোগীদের মধ্যে ডিপ্রেশন, মানসিক অবসাদ বিরাজ করে। তাই যোগাসন, ভাল খাবার, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুমের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
হিউম্যান ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস বা এইচআইভি আসলে একটি রেট্রো ভাইরাস। যার উৎপত্তি ১৯৩০ সালে পশ্চিম আফ্রিকার শিম্পাঞ্জিদের থেকে। শিকারের সময় সেই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে। এর কয়েক দশক পরে গোটা আফ্রিকা এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে পড়ে। আর ১৯৮১ সালে আমেরিকায় তা প্রকাশ্যে আসে। বিরল নিউমোনিয়া এবং ক্যানসার দেখা গিয়েছিল এক তরুণ সমকামী পুরুষের মধ্যে। ১৯৮২ সালে এই রোগের নামকরণ করা হয় এইডস। এমনকী এ-ও দেখা গিয়েছে যে, বহু মহিলার শরীরেও এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। আর প্রেগনেন্সির সময় তা গর্ভস্থ শিশুর দেহেও প্রবেশ করে। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করছেন বেঙ্গালুরুর রিচমন্ড রোড ফর্টিস হাসপাতালের ওবস্টেট্রিক্স এবং গাইনিকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. জয়শ্রী নাগারাজ ভাসগি।
advertisement

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২০ সালের পরিসংখ্যান বলছে, সারা বিশ্বের প্রায় ৩৭.৭ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি-তে আক্রান্ত। এর মধ্যে ১৬.৭ মিলিয়ন পুরুষ, ১৯.৩ মিলিয়ন মহিলা। আবার মহিলাদের মধ্যে ১.৩ মিলিয়ন গর্ভবতী। আর ১.৭ মিলিয়ন শিশু, যাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে।

advertisement

ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়?

রক্ত এবং বীর্য ও ভ্যাজাইনাল ফ্লুয়িডের মতো দেহতরল।

আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌনসঙ্গম। সেক্ষেত্রে ভ্যাজাইনাল, ওরাল ও অ্যানাল সঙ্গমও ঝুঁকির বিষয়।

আক্রান্ত মাদকাসক্ত রোগীর ইঞ্জেকশন কিংবা ব্লেড ব্যবহার।

আক্রান্ত রোগীর সার্জিক্যাল ব্লেড কিংবা ইঞ্জেকশন নিডল ব্যবহার।

প্রেগনেন্সির সময় আক্রান্ত মায়ের দেহ থেকে শিশুর দেহে ট্রান্স প্লাসেন্টাল ট্রান্সফার।

advertisement

সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত না করে ট্যাটু করা কিংবা বডি পিয়ার্সিং।

তবে করমর্দন করা, একসঙ্গে কাজ করা, একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া, টয়লেট সিট ও দরজার হাতল ব্যবহার করলে রোগ ছড়ায় না।

উপসর্গ:

প্রাথমিক পর্যায়ে এক থেকে ছয় সপ্তাহ রোগীদের ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ দেখা যায়। সেই তালিকা নিম্নোক্ত

জ্বর

গলা ব্যথা

পেশি ব্যথা

advertisement

স্কিন র‍্যাশ

গা-বমি ভাব

বমি

ডায়েরিয়া

মুখে ঘা

অবসন্ন ভাব

জেনিটাল আলসার

কয়েক সপ্তাহ পরে ধীরে ধীরে তা ঠিক হয়ে যায়। মৃদু উপসর্গ এমনকী কখনও কখনও উপসর্গ দেখা যায় না। এটা স্থায়ী হতে পারে প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত। এইডস-এর উপসর্গের মধ্যে অন্যতম হল ওরাল থ্রাশ, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, শুকনো কাশি, ওজন হ্রাস, ডায়েরিয়া, পেশির শক্তি হ্রাস ইত্যাদি। এইচআইভি রোগীদের খুব সহজেই কোভিড, হেপাটাইটিস বি এবং সি, টিউবারকিউলোসিস, ফাঙ্গাল সংক্রমণের মতো সংক্রমণ হতে পারে।

advertisement

আরও পড়ুন: স্কুলের মধ্যেই শিক্ষিকাকে হামলা শিক্ষকের! কাউন্সিলর স্ত্রীর নাম তুলে হুমকি!

আরও পড়ুন: মগরাহাটে বাড়ির কাছেই কুপিয়ে গুলি করে খুন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীকে! গুলিবিদ্ধ প্রতিবেশীকেও

১৯৮০ সাল নাগাদ এইডস রোগ নির্ণয়ের পরে রোগীর গড় আয়ু থাকত প্রায় ১ বছর। অ্যান্টি রেট্রো ভাইরাল থেরাপি বা এআরটি-র হাত ধরে মারণ এইচআইভি এখন ক্রনিক অবস্থায় পরিণত হয়েছে। যার ফলে এইচআইভি রোগীরা এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। আর এই ধরনের রোগীদের মধ্যে ডিপ্রেশন, মানসিক অবসাদ বিরাজ করে। তাই যোগাসন, ভাল খাবার, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুমের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
HIV Aids: এইচআইভি পজিটিভ মানেই কি জীবন শেষ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, জেনে নিন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল