নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মানো শিশুদের যত্নের কিছু টিপস:
সঠিক তাপমাত্রা:
শিশুকে সঠিক তাপমাত্রায় আরামে রাখতে হবে। প্রয়োজন পড়লে আরও জামাকাপড়ে মুড়ে রাখা উচিত তাদের। তবে বাচ্চাদের বিছানায় অতিরিক্ত লেপ-কম্বল চাপানো উচিত নয়। এতে তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
advertisement
ঘুমের জন্য:
সন্তান যাতে আরামে ঘুমোতে পারে, তার জন্য সঠিক পরিবেশের প্রয়োজন হয়। যার মধ্যে অন্যতম হল সঠিক তাপমাত্রা এবং আলো। আর ঘরে যেন কোনও রকম আওয়াজ না থাকে। নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মানো শিশুদের খিদে পাওয়ার প্রবণতা একটু বেশি হয়।
নিরাপদে স্নান করানো:
জল খুব গরম কিংবা ঠান্ডা হওয়া উচিত নয়। ঈষদুষ্ণ হওয়া আবশ্যক। এই ধরনের শিশুদের চুল সাধারণ জলেই পরিষ্কার করা উচিত। স্নানের জলে কোনও রকম ক্লিনজার যোগ করা উচিত নয়। তবে শিশুর ওজন ২.৫ কেজির কম হলে শুধুমাত্র স্পঞ্জ করাই উচিত। এক মাস বয়স হওয়ার পরেই লোশন ব্যবহার করা উচিত।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই কমবে ওজন, থাকবে না কোলেস্টেরলের চিন্তা! শুধু এই একটি সবজি পাতে রাখুন
আরও পড়ুন: নিমেষে ওজন ঝরা থেকে রক্তচাপ ঠিক রাখা! পাতে চেনা এই সবজি থাকলেই জীবন হবে একদম সহজ
সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিন্ড্রোম (এসআইডিএস) প্রতিরোধ:
এটা এক ধরনের অবস্থা, যেখানে সুস্থ-সবল শিশুও ঘুমের মধ্যে প্রাণ হারাতে পারে। শিশুদের ৬ মাস বয়স পর্যন্ত এই ঝুঁকি থাকে। স্বাভাবিক সময়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের তুলনায় প্রিটার্ম শিশুদের এই ঝুঁকি বেশি। যদিও এসআইডিএস-এর কারণ অজানাই থাকে, তবে প্রতিরোধের কিছু উপায় রয়েছে।
১. শিশুদের উপুড় করে বা পেটের উপর শোওয়ানো উচিত নয়। এতে শিশুদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
২. শিশুদের শরীর অতিরিক্ত গরম হতে দেওয়া চলবে না। কারণ এটা কিন্তু এসআইডিএস-এর অন্যতম প্রধান কারণ।
৩. এমনকী পাশ ফিরিয়ে শোওয়ানোও এই ধরনের বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর।
৪. বিছানায় চাদর ছাড়া অতিরিক্ত কিছু চাপানো উচিত নয়। শিশুর এক বছর না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত বালিশ, ব্ল্যাঙ্কেট, কমফোর্টার, সফট টয় বিছানায় রাখা উচিত নয়।
৫. একসঙ্গে শোওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। বাচ্চা একটু বড় হলে তবেই একসঙ্গে শোওয়া উচিত।
৬. যতটা পারা যায়, শিশুদের স্তন্যদুগ্ধ পান করানো উচিত। স্তন্যপান করালে ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।