TRENDING:

Heart Disease: হার্ট সাজারির নাম শুনলেই বুক কেঁপে ওঠে? ঠিক সময়ে অস্ত্রোপচার না হলে হতে পারে বিপদ! জানুন বিশেষজ্ঞের মত

Last Updated:

Heart Disease: বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে বসবাসকারী ভারতীয়দের হার্টের রোগের ঝুঁকি বেশি। দেশে দ্রুততার সঙ্গে সঙ্গে ছড়াচ্ছে হৃদরোগ। গ্রামাঞ্চলও এর কোপ থেকে ছাড় পাচ্ছে না।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বেঙ্গালুরু: বেশির ভাগ হার্টের রোগ কিন্তু প্রতিরোধযোগ্য। আমরা সকলেই এর রিস্ক ফ্যাক্টরগুলির বিষয়ে জানি। অথচ এগুলি নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে তেমন ওয়াকিবহাল থাকি না। ভারত যেহেতু ডায়াবেটিসের রাজধানী, ফলে কালক্রমে তা হৃদরোগেরও রাজধানী হয়ে উঠছে। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে বসবাসকারী ভারতীয়দের হার্টের রোগের ঝুঁকি বেশি। দেশে দ্রুততার সঙ্গে সঙ্গে ছড়াচ্ছে হৃদরোগ। গ্রামাঞ্চলও এর কোপ থেকে ছাড় পাচ্ছে না।
হার্ট সাজারির নাম শুনলেই বুক কেঁপে ওঠে
হার্ট সাজারির নাম শুনলেই বুক কেঁপে ওঠে
advertisement

তবে ভাল খবর হল - কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। বেশির ভাগ হার্টের রোগ ওষুধের দ্বারাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তবে ওষুধে যাঁদের কাজ হবে না, তাঁদের জন্য সার্জিক্যাল বিকল্প তো রয়েছেই। এই বিষয়ে আলোচনা করছেন বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক সিটির কাবেরী হাসপাতালের কনসালট্যান্ট কার্ডিওথোরাসিক ও ভাস্কুলার সার্জন ড. রাজেশ টি আর। তিনি জানান, অস্ত্রোপচারের কথা উঠলেই রোগী যেন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আসলে হার্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়েছে, এটা অনেকেই মানতে পারেন না।

advertisement

আরও পড়ুন: সন্তানের হাতে মোবাইল ফোন মানেই শত শত রোগের হাতছানি! সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা

এখানেই শেষ নয়, হার্টের অস্ত্রোপচার নিয়ে প্রচুর ভুল ধারণাও রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, আর বোধহয় স্বাভাবিক জীবনে ফেরা হবে না। হার্টের অস্ত্রোপচার সুপরিকল্পিত, বিজ্ঞানসম্মত। আসলে বিষয়টা সম্পূর্ণ উল্টো। অস্ত্রোপচারের পরে হার্ট আরও কার্যকর হয়ে যায়। আর জীবনের মানও বেড়ে যায়। বেশির ভাগ গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে।

advertisement

সার্জন ড. রাজেশ টি

আজকালকার দিনে অস্ত্রোপচার করার পরের দিনই রোগীরা হাঁটতে সক্ষম হন। এমনকী চতুর্থ কিংবা পঞ্চম দিনে রোগীকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী রোগী পুরোপুরি স্বাধীন ভাবেই নিজের কাজ করতে পারেন। আবার আর একটা সমস্যাও রয়েছে। ভারতীয়দের ভুল ধারণা হল, অবসর নিলেই জীবন শেষ। সেখানেও অস্ত্রোপচারে অনীহা কাজ করে। অস্ত্রোপচারেই হার্টের সমস্যা দূর হয় ও জীবনের মানও উন্নত হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: চোখে জ্বালা, দৃষ্টি মাঝে মাঝে ঘোলাটে লাগে? আপনার এই অভ্যেসটি নেই তো?

আবার উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় বলে অধিকাংশ মেয়ে হার্ট সার্জারি পিছিয়ে দিতে চান। আসলে কিন্তু সময়ে চিকিৎসা না করা হলে হার্টের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ফলে সমস্যাও আরও গুরুতর হয়। হার্টের সার্জারি কিন্তু অ্যাডভান্সড স্টেজেও হতে পারে। কিন্তু ঝুঁকি থাকে প্রচুর। আর ফলাফলও খুব একটা ভাল হয় না।

advertisement

সার্জারির পরিবর্তে অনেকেই নন-সার্জিক্যাল বিকল্প খোঁজেন। এতে কিন্তু ক্ষতি হয়। আসলে পুরোপুরি ট্রিটমেন্ট না হলে কিন্তু তা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। ছোটখাটো ছিদ্র করেই ইদানীং হার্টের সার্জারি হচ্ছে। যা অস্বস্তি কমায় আর আরোগ্য লাভও হয় দ্রুত। হার্টের পূর্ণ ক্ষতি হলে হার্ট ফেলিওরের আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট ও কৃত্রিম হার্ট ইমপ্ল্যান্টেশনের মতো বিকল্প রয়েছে।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Heart Disease: হার্ট সাজারির নাম শুনলেই বুক কেঁপে ওঠে? ঠিক সময়ে অস্ত্রোপচার না হলে হতে পারে বিপদ! জানুন বিশেষজ্ঞের মত
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল