কিন্তু সত্যিই কি তাই? মশালা ল্যাব: দ্য সায়েন্স অফ ইন্ডিয়ান কুকিং বইয়ের লেখক এই তথ্য একেবারেই ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, ‘আপনি উপোস করলে, সেটি ভাঙতে কার্বোহাইড্রেটের এই বোমা খাওয়ার তাও কোনও যুক্তি থাকতে পারে। আর এটি একেবারেই ভারতীয় ঘরে ঐতিহ্যশালী নয়। এটি পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে উৎপত্তি হয়েছে’।
advertisement
আরও পড়়ুন: যখন-তখন ওজন মাপছেন? ভুল করছেন, জানুন দিনের কোন সময় সঠিক ওজন বলে
পুষ্টিবিদ ও আইথ্রাইভের সিইও প্রতিষ্ঠাতা মুগ্ধা প্রধান বলেছেন, ‘সাবুদানা মাড়জাতীয় পদার্থে ভর্তি। সাগো বা কাসাভা গাছ থেকে এটি তৈরি হয়। রিফাইন করে এটি তৈরি হয়। এতে শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে।’ এর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি ও হার্টের রোগীদের পক্ষেও এটি অস্বাস্থ্যকর বলে দাবি করেছেন তিনি। উপোসের পরও এটি খাওয়া খুবই ক্ষতিকারক বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: কোল্ড ড্রিংকস দিয়ে চুল ধুয়েছিলেন এই মহিলা, তারপর যা হল ভাবতে পারবেন না!
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সাবুদানা ক্ষতিকর কেন?
সাবুদানায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এটিও শরীরে শক্তি যোগায়। কিন্তু এসব গুণে পরিপূর্ণ হওয়ার পরও ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি পরিমাণে সাবু খেতে নিষেধ করা হয়। আসলে, ট্যাপিওকা মূল থেকে স্টার্চ প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং ছোট স্বচ্ছ বল তৈরি করা হয়, যাকে সাবু বলা হয়। আলু ও সাদা ভাতের মতো মাড়যুক্ত খাবার যেমন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি সাবুও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিষ। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)