সার্ভিকোজেনিক হেডেক কী?
ঘাড়ের পিছন দিয়ে যে কোনও একদিক থেকে এই ব্যথা উঠতে থাকে। মাইগ্রেনের সঙ্গে এই ব্যথাকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না।
কেন হয়?
সাধারণত অজানা কারণে এই রোগ হয়। তবে ঘাড়ে বা মেরুদণ্ডে কোনও রকম আঘাত, আর্থ্রাইটিস, দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে কাজ করা থেকে এই ব্যথা হতে পারে। কাঁধ থেকেও ব্যথা ছড়াতে পারে। আইটি প্রফেশনাল, হেয়ার স্টাইলিস্ট, শল্যচিকিৎসক যাঁদের পেশায় দীর্ঘক্ষণ মাথা নিচু করে কাজ করতে হয়, তাঁদের এই সমস্যা বেশি হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: চাউমিন-রোল-পিৎজার খপ্পড়ে শরীরের কী ক্ষতি করছেন জানেন? বিশেষজ্ঞের চাঞ্চল্যকর দাবি
উপসর্গ কী?
সাধারণত মাথা নাড়ালেই ঘাড়ে, মাথায় ব্যথা হতে পারে, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, চোখের চারপাশে ব্যথা হতে পারে।
এছাড়া,
মাথা বা ঘাড়ের একপাশে ব্যথা ওঠা-নামা করে।
একটানা ব্যথা হতে পারে।
হাঁচি বা কাশি হলে বা জোরে শ্বাস নিলেও মাথায় ব্যথা হতে পারে।
ঘাড় শক্ত হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: হুড়হুড় করে চর্বি ঝরে ওজন কমবে, এই পাতার গুণ ম্যাজিকের মতো! জানুন
সিএইচ বা মাইগ্রেনের থেকে আলাদা হলেও কিছু উপসর্গে মিল রয়েছে, যেমন—
মাথা ঘোরা, বমি ভাব
ঘাড়ে ব্যথা
উজ্জ্বল আলো বা জোরে আওয়াজে মাথা ঘোরা
ঝাপসা দৃষ্টি
প্রতিরোধের উপায়—
শারীরিক ভঙ্গী সংশোধন করতে হবে। গাড়ি চালানোর সময় বেল্ট পরতে হবে। ঘাড়ের পেশি শক্তিশালী করার ব্যায়াম করা যেতে পারে।
রোগ চেনার উপায়—
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া এই রোগ চেনা মুশকিল। স্ক্যান বা অন্য পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়। এটা খুব জরুরি।
চিকিৎসা পদ্ধতি—
রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ফিজিক্যাল বা ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন। প্রথমেই রোগ সারিয়ে ফেলা গেলে ভাল। না হলে টিইএনএস মেশিন প্রয়োগ করতে হতে পারে। ঘাড়ে ইঞ্জেকশনও দিতে হতে পারে।
বাড়িতে SNAG (sustained natural apohyseal glide) ব্যথা নিরাময়ে কাজ দিতে পারে। তবে ফিজিও থেরাপিস্টই এই কাজ করতে পারেন।
পেশি শিথিল করার ওষুধও খাওয়া যেতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো।
ভাল ঘুম, যোগাভ্যাস, হাইড্রোথেরাপি ভাল ফল দিতে পারে।
মানসিক চাপ ও উদ্বেগের প্রভাব—
সরাসরি মানসিক উদ্বেগ থেকেই এই ব্যথা না হলেও অনিদ্রা, ধূমপান, মদ্যপান পরিস্থিতি খারাপ করতে পারে।