মিথ: মাইগ্রেন অত্যন্ত সাধারণ এবং এর জেরে তীব্র মাথা ব্যথা হয়।
ফ্যাক্ট: এটা তীব্র মাথা ব্যথার থেকেও অনেক বেশি। মাইগ্রেন আসলে জটিল নিউরোলজিক্যাল রোগ। যার জেরে মাথা ব্যথা ছাড়াও নানা রকম উপসর্গ দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হল গা-বমি ভাব, বমি, আলো আর শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা, দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা ইত্যাদি। বেশ কিছু রোগীর মধ্যে আবার স্নায়বিক উপসর্গও দেখা যায়।
advertisement
মিথ: মানসিক চাপের কারণে মাইগ্রেন হয়।
ফ্যাক্ট: কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে মানসিক চাপ ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। তবে মাইগ্রেনের নানা ধরনের ট্রিগার থাকে। যার মধ্যে রয়েছে হরমোনজনিত পরিবর্তন, নির্দিষ্ট কিছু খাবার অথবা পানীয়, ঘুমের ব্যাঘাত, পরিবেশগত বিষয় এবং কিছু জিনগত প্রবণতা। প্রতিটি ট্রিগার শনাক্ত করা গেলেই রোগ নিয়ন্ত্রণে সহজ হবে।
মিথ: মাইগ্রেন শুধুমাত্র মহিলাদেরই হয়।
ফ্যাক্ট: মহিলাদের মধ্যেই এই রোগ বেশি দেখা যায়। পুরুষদের তুলনায় তিন গুণ বেশি মহিলাদেরই এই রোগ হয়। তবে যে কোনও লিঙ্গের মানুষই এতে আক্রান্ত হতে পারে। পুরুষ, শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই এই রোগে আক্রান্ত হন।
মিথ: মাইগ্রেন তেমন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা নয়।
ফ্যাক্ট: এটা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ স্বাস্থ্যজনিত অবস্থা। যা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। মাইগ্রেনের জেরে তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে। ফলে রোজকার কাজে সমস্যা দেখা দেয়। স্কুল কিংবা কাজে যাওয়া হয় না। এছাড়া মাইগ্রেন কিন্তু ডিপ্রেশন, উত্তেজনা এমনকী কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুন- দেশে লাফিয়ে বাড়ছে প্রস্টেট ক্যানসার রোগীর সংখ্যা, কীভাবে প্রতিরোধ সম্ভব? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ
মিথ: মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়াই একমাত্র চিকিৎসার বিকল্প।
ফ্যাক্ট: মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওষুধ খাওয়া খুবই জরুরি। তবে এটাই একমাত্র বিকল্প নয়। এর সঙ্গে জীবনযাপনের ধরন বদলানোও আবশ্যক। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, সঠিক ডায়েটও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মিথ: মাইগ্রেন থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠা সম্ভব।
ফ্যাক্ট: বর্তমানে মাইগ্রেনের কিন্তু পুরোপুরি ভাবেই সারানো সম্ভব নয়। কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এমনকী বারবার রোগের আক্রমণ এবং তীব্রতাও হ্রাস করা সম্ভব।