আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনে কাশি, সর্দি, জ্বরের মতো রোগের প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। দৌসার হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, যার জেরে স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপরও চাপ বাড়ছে। এদিকে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরে সুলভ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে প্রস্তুত ওষুধ সেবন করলে এই মরশুমি রোগগুলো এড়ানো যায়। জেনে নেওয়া যাক এই আয়ুর্বেদিক ওষুধগুলো সম্পর্কে।
advertisement
আরও পড়ুন: সৌরভকে টুকরো টুকরো করে তাঁর টাকাতেই মানালিতে ফুর্তি? মেয়ের ঘৃন্য কীর্তি ফাঁস করলেন মুসকানের বাবা
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে –
বিগত মাস পর্যন্ত ঠান্ডা-ঠান্ডা ভাব থাকলেও এখন বাড়ছে তাপমাত্রা। দিন যাচ্ছে গরমে আর রাত ঠান্ডা হচ্ছে। এতে ফ্যান-কুলারের ব্যবহারও বেড়েছে। এই কারণে ঠান্ডা, জ্বরের মতো সমস্যা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঋতুটি সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য অনুকূল, যার কারণে মানুষকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আয়ুর্বেদিক প্রতিকার উপকারী হতে পারে –
আয়ুর্বেদিক বিভাগের সিনিয়র কম্পাউন্ডার জগমোহন পরাশরের মতে, আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব এড়াতে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার গ্রহণ করা যেতে পারে। তুলসী পাতা, আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ জলে সেদ্ধ করে পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সর্দি-কাশি দ্রুত নিরাময় হয়।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে –
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিম, গিলয়, আদা, তুলসী, গোলমরিচ, লবঙ্গ ও শুকনো আদা নিয়মিত সেবন করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। একই সঙ্গে এর সেবনে সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আয়ুর্বেদিক ওষুধ –
আয়ুর্বেদ বিভাগের মতে, সিতোপলাদি চুর্ণ, তালিসাদি চুর্ণ, ত্রিকটূ চূর্ণ দ্বারা প্রস্তুত ক্বাথ সেবন করলেও অনেক মরশুমি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই ওষুধগুলি শরীরকে অভ্যন্তরীণভাবে শক্তিশালী করে এবং কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ –
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় খাদ্যাভ্যাসের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। হালকা, সহজে হজম হবে এমন গরম খাবার খেতে হবে। এছাড়াও, ঠান্ডা জল বা বরফ খাওয়া এড়ানো উচিত। কেউ যদি খুব বেশি জ্বর বা দীর্ঘস্থায়ী কাশি এবং সর্দিতে ভোগেন, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।