সামাজিক সচেতনতা:
সর্দি, কাশি, চোখের সংক্রমণ-সহ নানা ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রমণ থাকলে পুলে নামা উচিত নয়। আসলে এতে ভাইরাল সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সঠিক ভাবে পরিষ্কার না হলে অত্যধিক ব্যবহৃত পুল থেকে কনজাংটিভাইটিসের মতো সমস্যা হতে পারে। এছাড়া পুলে নাক ঝাড়া, থুতু ফেলা অথবা মূত্র ত্যাগ করার মতো বদভ্যাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘কাকুর’ রহস্যভেদ করবেন তিনিই? এমন কাকে ডাকল ইডি! তলব ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা
স্যুইমিং গিয়ার:
স্যুইমিং গগলস এমন হতে হবে, যা চোখের উপর যেন শক্ত ভাবে আটকে থাকে। আর স্পষ্ট ভাবে যেন দেখা যায়। এতে স্যুইমিং পুল কনজাংটিভাইটিস থেকে চোখকে বাঁচানো যায়। সেই সঙ্গে পুলের জলে থাকা ক্লোরিন থেকেও চোখকে সুরক্ষিত রাখা যায়। পুলের জলের অতিরিক্ত ক্লোরিন পুল থেকে হওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। আসলে এই সংক্রমণ থেকে চোখ লাল হয়ে জ্বালা করে। এছাড়া চোখের দৃষ্টিও ঝাপসা হয়ে যেতে পারে।
প্রেসক্রিপশন সানগ্লাস:
যাঁরা কনট্যাক্ট লেন্স না পরে পুলের জলে নামতে চাইছেন, তাঁরা প্রেসক্রিপশন সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের পরই বড় পদক্ষেপ সিবিআই-এর! আরও চাপ? তোলপাড় বাংলা
কনট্যাক্ট লেন্স নয়:
যাঁরা কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করে, তাঁদের ওটা পরে কখনওই পুলের জলে নামা উচিত নয়। লেন্স পরে জলে নামলে অ্যাকান্থামিবা কেরাটাইটিস নামে এক বিরল ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। আসলে পুলের জল সঠিক ভাবে পরিষ্কার না হলে এতে এই অ্যামিবা থেকে যায়। যা কনট্যাক্ট লেন্সের সংস্পর্শে আসে। এর জেরে কর্নিয়া সংক্রমিত হয়।
আই লুব্রিকেশন:
দীর্ঘক্ষণ পুলে থাকার ফলে চোখ চুলকোয় কিংবা জ্বালা করে। এটা ক্লোরিন থেকে হওয়া অ্যালার্জির কারণে হতে পারে, আবার চোখের শুষ্কতার কারণেও হয়। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যে কোনও ধরনের ওটিসি আই লুব্রিকেটিং ড্রপ নিরাপদ ভাবে লাগানো যায়। এমনকী চুলকানির হাত থেকে বাঁচার জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এটা ব্যবহার করা সম্ভব।
চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ:
পুলে নেমে চোখের সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা করলে চলবে না। সঙ্গে সঙ্গেই যেতে হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হবে।