ওয়ার্কআউট:
জীবনযাত্রার ধরনে উন্নতি আনতে হবে। নিজেকে সচল রাখতে হবে। ফলে দিনে অন্তত ৪৫ মিনিট করে এক্সারসাইজ করা বাঞ্ছনীয়। সাঁতার কাটা, পিলাটেস, সাইকেল চালানো থেকে শুরু করে যে কোনও রকম ব্যায়াম করতে হবে। এটা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। শুক্রাণুর মান উন্নত করার পাশাপাশি এন্ডর্ফিন নিঃসরণ করে।
আরও পড়ুন: বুদ্ধি বাড়াতে চান? এই কাজগুলো করুন, হাতেনাতে ফল মিলবে!
advertisement
মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে হবে:
দৈনন্দিন জীবনে এমনিতেই প্রচুর স্ট্রেস থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে জমতে থাকা মানসিক চাপ এবং উত্তেজনা পুরুষদের ফার্টিলিটির উপর প্রভাব বিস্তার করে। এর ফলস্বরূপ যৌন সন্তুষ্টি হ্রাস পায়। মানসিক চাপ কর্টিসলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। যার প্রভাব পড়ে টেস্টোস্টেরনের মাত্রার উপর। শুধু তা-ই নয়, ডিপ্রেশন অথবা উত্তেজনার মতো মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা সঠিক সময়ে ধরা পড়লে কিংবা চিকিৎসা হলে যৌন স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। অনেকে আবার মানসিক চাপ কাটাতে ধূমপান করেন। এটাও শুক্রাণুর মানের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে সেই অভ্যেসও ত্যাগ করতে হবে। এছাড়া ল্যাপটপ কোলে রেখে কাজ করাও চলবে না।
আরও পড়ুন: সাইকেলের বাংলা কী? ৯৯% লোক বলতে গিয়ে হিমশিম খাবেন
ভাল যৌন স্বাস্থ্য:
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন অথবা প্রিম্যাচিওর ইজ্যাকুলেশনের মতো সমস্যার কারণে কিন্তু দাম্পত্য জীবনে বিঘ্ন আসতে পারে। সচেতনতা এবং আত্মবিশ্বাস বজায় রেখে চিকিৎসকের কাছে এই সমস্যার কথা জানালে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কখনও কখনও ওষুধ এবং ভাল কাউন্সেলিংয়ে এই সমস্যা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিরাপদ যৌনতা বজায় রাখার জন্য হারপিস, সিফিলিস, ক্ল্যামিডিয়া, গনোরিয়া-সহ সংক্রামক সংক্রমণ এড়িয়ে চলা বাঞ্ছনীয়।
খাবার:
প্রক্রিয়াজাত এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যেস বিভিন্ন হরমোন এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। সেই সঙ্গে যৌন স্বাস্থ্যও বিঘ্নিত হয়। ডায়েটে পরিবর্তন আনলে তবেই শুক্রাণুর সংখ্যা এবং মান উন্নত করা সম্ভব। প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন-ই, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ ডায়েট যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। ফলে ডায়েটে রাখতে হবে ডিম, বেরি জাতীয় ফল, ওয়ালনাট, রকমারি ফল, শাক-সবজি ইত্যাদি।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)