আসলে জেনারেল অ্যানাস্থেশিয়ার আওতায় থাকা রোগীরা যাতে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারেন এবং যাতে তাঁদের শরীরে অক্সিজেন চলাচল করতে পারে, তার জন্য হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানিউলা ব্যবহার করা হয়। এটাই থ্রাইভ-এর প্রক্রিয়া। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল প্রক্রিয়ার জন্য যে অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়া হয়, সেই সময় হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানিউলা অক্সিজেন সাপ্লিমেন্টেশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলায় বিজেপি-শাসিত রাজ্যের হাওয়া! দলবদল রুখতে বীরভূমে যা হল, বিশ্বাস করতেও কষ্ট হবে
মাইক্রো-ল্যারিঙ্গোস্কোপির ক্ষেত্রে এটা বড়সড় ভূমিকা পালন করে। কারণ সার্জিক্যাল ক্ষেত্রে বিশাল পরিসর প্রদান করে। প্রথাগত ভেন্টিলেশনের জন্য ফুসফুসের ভিতরে এবং বাইরে প্রয়োজনীয় গ্যাসের প্রবাহকে চেস্ট মোশনের দ্বারা ট্রিগার করা হয়। যে রোগী স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছেন, তিনি অ্যাপনেইক হয়ে পড়ার ২ মিনিটের মধ্যে প্রাণঘাতী স্তরে ডিস্যাচুরেট করেন। এর জেরে ইএনটি সংক্রান্ত বিশেষ করে স্বরযন্ত্র এবং শ্বাসনালীর উপরের অংশের সার্জিক্যাল ক্ষেত্রে অক্সিজেনেশন বজায় রাখতে এবং অ্যানাস্থেশিয়া করার ক্ষেত্রে বেশ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন অ্যানাস্থেশিওলজিস্ট। প্রথাগত ভাবে এই অবস্থায় অক্সিজেনেশন বজায় রাখার জন্য একটি রিজিড ব্রঙ্কোস্কোপ ইউটিলাইজিং জেট ভেন্টিলেশন, ট্রান্স-ট্র্যাকিয়াল ক্যাথিটার অথবা জেট ভেন্টিলেশন ক্যাথিটার ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: ১০ প্রশ্ন-১০ উত্তর, রাজভবন-রাজ্যের ভোট-সংঘাতে নতুন মাত্রা! এবার কি বড় ব্যবস্থার পথে আনন্দ?
সীমাবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি এবং জেট ভেন্টিলেশন থেকে মুক্ত অবস্থায় এক জন সার্জন বা শল্য চিকিৎসক থ্রাইভ-সহ ইএনটি সার্জারি করতে পারেন। অ্যানাস্থেশিয়ায় থাকাকালীন সম্পূর্ণ মাস্কুলার রিল্যাক্সেশন এবং টোটাল ইন্ট্রাভেনাস অ্যানাস্থেশিয়া-সহই রোগীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারবেন। সার্জারি হওয়ার আগে রোগীকেই অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া আবশ্যক। রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাসের হার কৃত্রিম ভাবে একটি ডিভাইসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। অ্যানাস্থেশিয়ায় থাকাকালীন রোগীর ভেন্টিলেটেড থাকাও বাধ্যতামূলক। আর সেটা করার জন্য গলার মধ্যে দিয়ে রোগীর শ্বাসনালীর মধ্যে একটি টিউব প্রবেশ করানো হয়। বর্তমানে যে অংশে সমস্যা রয়েছে, সেই অংশে শেয়ারড এয়ারওয়ে প্রসেডিওর ব্যবহৃত হয়। তবে কখনও কখনও টিউব প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়াটি কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ টিউবটি অনেকটা জায়গা নিয়ে নেয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে অবশ্য লেজারের মতো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। যা এন্ডোট্র্যাকিয়াল টিউবের ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে। ওই পরিস্থিতিতে থ্রাইভ-এর আধুনিক প্রযুক্তি সত্যিই আমূল পরিবর্তন এনেছে।
কলকাতার সিএমআরআই-এর ডিপার্টমেন্ট অফ ইএনটি-র কনসালট্যান্ট ডা. অর্জুন দাশগুপ্ত জানান, “ট্রান্সনেজাল হিউমিডিফায়েড-ইনসাফ্লেশন ভেন্টিলেটরি এক্সচেঞ্জ (থ্রাইভ) একটি যুগান্তকারী চিকিৎসা পদ্ধতি। যা অপারেশনের সময় চিকিৎসকদের সুবিধা প্রদান করছে। আর প্রথম বারের জন্য এই কৌশল কলকাতায় চালু করা হয়েছে। আর সেটাও করা হয়েছে সিএমআরআই-তে। বিগত ২ মাসে প্রায় ৭ থেকে ৮টি কেস এর আওতায় রেজিস্টার্ড হয়েছিল। যা সফল ভাবে সম্পন্ন করা গিয়েছে।”