চিকিৎসক জানান, “ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সবথেকে বেশি সম্ভাবনা সদ্যোজাত শিশুদের। জন্ম থেকে ছ’মাস, এই সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মাতৃদুগ্ধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ানো যাবে। সরকার থেকে যে যে প্রতিষেধক নিতে বলা হয়েছে সেগুলি সময়মতো নিতে হবে।”
বাঁকুড়া এমন একটি জেলা এই জেলার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সামান্য সমতল, মালভূমি এবং পাহাড়ি অঞ্চল দেখা যায়। স্থান অনুযায়ী জলের ওপর কোনও প্রভাব পড়ে কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন বাঁকুড়া খ্রীস্টান কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুব্রত পান। তিনি জানান, মাটির নিচের জল সবসময়ই পান যোগ্য, তবে তা যদি যথেষ্ট গভীরের জল হয় তবে বর্ষাকালে সেই জল পর্যন্ত দূষিত হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ বর্ষাকালে গভীর কুয়োর জল পানের অযোগ্য এবং ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আজ থেকে দিঘা গেলে সাবধান, ছোট্ট ‘এই’ কাজের মাশুল মোটা অঙ্কের জরিমানা
চিকিৎসক আরও জানান, “বর্ষাকালের কুয়োর জল মোটামুটি ভর্তি হয়ে যায়, যদি কুয়োর পাশে কোনও বড় পুকুর থাকে এবং সেই পুকুরের জল দূষিত হয় তাহলে, পুকুরের জল এবং কুয়োর জল মিশে যায়।” আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাহায্যে ডায়রিয়া খুব সহজেই সেরে যায়। কিন্তু যদি কারও ক্রনিক ডিজিজ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সামান্য ডায়েরিয়া প্রাণঘাতী হতে পারে। কিডনির অসুস্থতা কিংবা সুগার থাকলেও সেই সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ রকম কোনও রোগীর ডায়রিয়ার উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুততার সঙ্গে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হবে। এ দিকে, বাঁকুড়ায় বেড়েই চলেছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়ে প্রাণ গিয়েছে চারজনের।
Nilanjan Banerjee